shono
Advertisement

জমি বিতর্কে অমর্ত্যর পাশে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট! সাসপেন্ড বিশ্বভারতীর পড়ুয়া

উপাচার্যের বিরুদ্ধাচারণ করায় শাস্তি বলেই দাবি পড়ুয়ার।
Posted: 10:55 AM Jul 27, 2023Updated: 10:55 AM Jul 27, 2023

দেব গোস্বামী, বোলপুর: অধ্যাপক-শিক্ষাকর্মীর পর এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কোপে স্নাতকোত্তর স্তরের পল্লীশিক্ষা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি বিভাগের প্রতিবাদী ছাত্র সোমনাথ সৌ। বিশ্বভারতীর ছাত্র, তথা বামপন্থী এসএফআইয়ের সদস্য সোমনাথ সৌকে বুধবার সাসপেন্ড করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পক্ষ থেকে এই নোটিস জারি করা হয়।

Advertisement

এর আগেও একাধিকবার সাসপেন্ড করা হয় ওই পড়ুয়াকে। সম্প্রতি জমি বিতর্ক নিয়ে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সোমনাথ। ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। এবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট সম্পর্কিত আচরণ লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়েই তৃতীয় সেমিস্টার স্থগিত করা হয়েছে। পড়ুয়াদের একাংশের মত, তৃতীয় সেমিস্টার স্থগিত করা মানে প্রায় এক বছর নষ্ট হওয়া।

[আরও পড়ুন: হিডকোর প্লট বিক্রি প্রতারকচক্রের! রেজিস্ট্রেশনের পর আটকাল মিউটেশনে]

বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগে ১ বছরের জন্য ওই পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রতিবাদী পড়ুয়াকে শোকজ করা নিয়ে বিশ্বভারতীতে ফের জটিলতা তৈরির আশঙ্কা। অমর্ত্য সেনের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট থেকে শুরু করে বিশ্বভারতী নানা বিতর্কিত বিষয়ে ফেসবুকে লেখেন  সোমনাথ সৌ। শোকজের চিঠিতে ওই ছাত্রকে শৃঙ্খলাভঙ্গ নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর দাবি ঠিক কী?‌ কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক বিতর্কিত পোস্ট করায় আচরণ লঙ্ঘন করেছেন ওই ছাত্র। সর্বসম্মত সুপারিশ অনুযায়ী তৃতীয় সেমিস্টার স্থগিত করা হয়েছে।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে বারবার ‘বিরুদ্ধস্বর’ হওয়ার ‘শাস্তিস্বরূপ’ উপাচার্য এমন পদক্ষেপ করেছেন বারবার। শুধু ছাত্ররাই নন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কবলে একাধিক অধ্যাপকও। অন্যদিকে, বরখাস্তের নোটিসপ্রাপ্ত পড়ুয়া সোমনাথ সৌয়ের অভিযোগ, উপাচার্যের বিরুদ্ধাচারণ করার জন্যই তাঁকে এই ‘শাস্তি’ পেতে হচ্ছে। তবে, এর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন তাঁরা। প্রয়োজনে আইনের পথ ধরতেও পিছপা হবেন না তাঁরা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশের কথায়, “উপাচার্য পাঁচ বছর ধরে স্বৈরতন্ত্র চালাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কথা বললেই হয় জুটছে সাসপেনশন, নয়তো শোকজের নোটিস। বাদ যাননি অধ্যাপকেরাও। বিরুদ্ধস্বর হলেই হয় বদলি, নয় বাতিলের খাতায়। প্রয়োজনে আইনের পথ অনুসরণ করা হবে।”

[আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা, জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement