নন্দন দত্ত, সিউড়ি: জমি নিয়ে টানাপোড়েন ইস্যুতে অর্মত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিপাকে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) পড়ুয়া। শোকজ করা হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরের ছাত্র সৌমনাথ সৌকে। এই ঘটনা ঘিরে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
সৌমনাথ সৌ বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সঙ্গেও যুক্ত। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “অধ্যাপক অমর্ত্য সেনকে দেওয়া জমির লিজ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যা করছেন তা একপ্রকার অসভ্যতা। যারা এই অসভ্যতায় মদত দিচ্ছেন তারা খুব ভালভাবেই জানেন যে এটা অমর্ত্য সেনকে হেনস্তা করা ছাড়া আর কিছুই না। কিছু ঘুঘু আছে যারা কারেন্ট চক্বতিকে পরামর্শ দিচ্ছেন অধ্যাপক সেনকে এভাবে হেনস্থা করলে বিজেপির সমর্থন পাওয়া যাবে।” তিনি আরও লেখেন, “যা কাগজ পত্র আছে তাতে এটা খুবই স্পষ্ট যে সমস্ত জমির লিজ অধ্যাপক সেনের নামে আছে অর্থাৎ কাগজ অনুযায়ী তিনি সমস্ত জমির অধিকারী। বিশ্ববরেণ্য অশীতিপর বৃদ্ধ মানুষকে নিয়ে যে কুৎসা হচ্ছে তার সত্যতা সবার সামনে আসা দরকার। কাগজ দেখাক বিশ্বভারতী।”
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় ফের বন্দুকবাজের হামলা, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে শুটআউটে মৃত অন্তত ৩]
এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সৌমনাথকে শোকজের চিঠি ধরিয়েছে। চিঠিতে প্রশ্ন করা হয়েছে, বিশ্বভারতীর ছাত্র হয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হলেন কী করে? শুধু তাই নয়, শোকজের চিঠিতে সৌমনাথকে শৃঙ্খলাভঙ্গ নিয়ে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ফের শৃঙ্খলাভঙ্গ করলে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। যদিও এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাননি ওই ছাত্র। তবে এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের জমি জট নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। অমর্ত্য সেন ১৩ ডেসিম্যাল জমি দখল করে রেখেছেন বলেই অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বোলপুরে ‘প্রতীচী’ অর্থাৎ অর্মত্য সেনের বাড়িতে গিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন নোবেলজয়ীর। তার জল গড়িয়েছে বহুদূর। বিশ্বভারতীর তরফে আপত্তিকর বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তার কয়েকদিন পেরতে না পেরতেই ফের জমি নিয়ে অমর্ত্য সেনকে নোটিস পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যৌথভাবে জমি জরিপের কথাও বলা হয়েছিল নোটিসে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।