সম্যক খান, মেদিনীপুর: প্রশাসনিক সভা থেকে কর্মসংস্থানের উপর জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)। কখনও জব ফেয়ার সঠিকভাবে সামলানোর পরামর্শ দিলেন তিনি। তো কখনও ঘোষণা করলেন সাইকেল হাবের কথা। সবমিলিয়ে মঙ্গলবারের মেদিনীপুর প্রশাসনিক সভা থেকে কর্মসংস্থানের একাধিক দিশা দেখালেন তিনি।
বাংলার (Bengal) ৭৮.৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি করে সাইকেল (Cycle) রয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। সরকারি প্রকল্প সবুজ সাথীর সুফল পাচ্ছে আমজনতা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আফসোস, আমরা এত সবুজ সাথীর সাইকেল দিই। অথচ রাজ্যে কোথাও সাইকেল তৈরির কারখানা নেই। একটা কারখানা ছিল সেটাও ধুঁকছিল। এবার সেই সমস্যার সমাধান করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, “এবার খড়গপুরের শিল্পপার্কে তৈরি হবে সাইকেল হাব।” সেখানে প্রচুর কর্মসংস্থান বলেও আশা তাঁর। এদিনের প্রশাসনির বৈঠকে পাঁচজন শিল্পপতি উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন খড়গপুরের শিল্পপার্কে জমি দেওয়া হচ্ছে সাইকেল হাবের জন্য।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল ইডির, দিল্লি নয়, অভিষেক-রুজিরাকে কলকাতায় জেরার নির্দেশ]
রাজ্যের তরফে কর্মসংস্থানের জন্য জেলায় জেলায় জব ফেয়ারের আয়োজন করা হচ্ছে। কিন্তু সেই মেলা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। অভিযোগ উঠছে প্রতিশ্রুতি দিলেও চাকরি মিলছে না। এবার সচিবদের কড়া হাতে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে সুষ্ঠভাবে জব ফেয়ার সম্পন্ন করা যায়, তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি, ৫৬ জন প্রাক্তন মাওবাদীকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন তিনি।
বাংলার ৭৯ শতাংশ পরিবারে সাইকেল থাকার নেপথ্যে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘সবুজ সাথী’। ওই প্রকল্পে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে চালু হয় এই ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্প। এই প্রকল্পে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত যেমন সহজ হয়েছে তেমনই দূষণমুক্ত যানের প্রসার ঘটেছে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার এবং আন্তর্জাতিক বহু প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের প্রশংসা করেছে। ২০১৫ থেকে দফায় দফায় ‘সবুথ সাথী’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত এক কোটির কিছু বেশি সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।যা প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শহরের বহু মানুষের যাতায়াতের সমস্যার সুরাহা করেছে।