ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আগামী সপ্তাহেই কাঁথির সমবায় ভোট। তার আগে আরও একবার দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যে ওই ভোট নিয়ে কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে শাসক শিবির। বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অখিল গিরিকে। মঙ্গলবার কোলাঘাটে সাত বিধায়ককে বৈঠকে বসার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ভোটাভুটি। সমবায় ব্যাঙ্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের হয়। সোমবার ওই মামলার শুনানি ছিল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ভোটের দিন রাজ্য সরকার এবং সমবায় নির্বাচন দপ্তরকে নতুন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য পরিবহণের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য ওই পাঁচটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তৃতীয়ত, প্রত্যেকটি বুথে সিসি ক্যামেরার বন্দোবস্তও করতে হবে। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের নিরাপত্তায় বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েই থাকে। তবে সমবায় নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরই পূর্ব মেদিনীপুর নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে দলীয় কর্মীদের মিলেমিশে একজোট হয়ে কাজ করার বার্তা দেন তিনি। এদিকে, রবিবার তমলুক, নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচন ছিল। সমবায় ভোট পরবর্তী অশান্তিতে নন্দীগ্রামে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। জখম হন তাঁর দাদাও। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলেই অভিযোগ। সূত্রের খবর, বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের কাছ থেকে ওই ঘটনার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী।