অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে প্রচুর বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার ডোমজুড়ে। কোরোলার নতিবপুরে এক ব্যক্তির বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে প্রায় ৩০টি তাজা বোমা (Bombs) উদ্ধার হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই বোমা উদ্ধার ঘিরে জেলায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। যে ব্যক্তির বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ওই বোমাগুলি উদ্ধার হয়েছে, মিনসার নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ডোমজুড় থানা। শুক্রবার মিনসার নামে ওই ব্যক্তিকে হাওড়া আদালতে তুলে জেল হেফাজতের আবেদন করে পুলিশ।
ধৃত যুবকের এক প্রতিবেশী নিজাম মল্লিক জানালেন, হঠাৎই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিনসার নামে তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তার বাড়ি থেকে বেশ কয়েক কেজি বোমার মশলা উদ্ধার করে তারা। এরপর বাড়ির পাশের পুকুরে খাপলা জাল ফেলে তাজা বোমা উদ্ধার করে। একটি আগ্নেয়াস্ত্রও (Arms) তাঁর প্রতিবেশীর কাছ থেকে পেয়েছে ডোমজুড় থানার পুলিশ, এমনই দাবি করেন নিজাম। পুলিশের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পর রাতেই মিনসার গ্রেপ্তার হয়। তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে ডোমজুড় (Domjur) থানা।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতীয়রা ফর্সা নন?’, খুশি-সুহানার ‘আর্চিস’ বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতেই কষিয়ে জবাব জোয়ার]
শুক্রবার এই প্রসঙ্গে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার (CP) প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি জানালেন, ‘‘খবর ছিল ডোমজুড়ে একটি পুকুরে বোমা রয়েছে। সেটা পুলিশ উদ্ধার করে। তবে ওখানে অন্য মামলায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।’’ অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হাওড়ায় পুলিশের টহলদারি, এরিয়া ডমিনেশন চলছে। আমরা সবসময় চেষ্টা চালাচ্ছি হাওড়ায় কোনও অশান্তি বা অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে।’’
[আরও পড়ুন: পরিবেশ আইন ভাঙার অভিযোগে গ্রেপ্তার নেইমারের বাবা! বিরাট জরিমানার মুখে তারকাও]
এদিকে ডোমজুড়ে এই বোমা উদ্ধারের ঘটনার পরই শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা হাওড়া জেলার নেতা উমেশ রাই বলেন, ‘‘যে ব্যক্তির বাড়ির পাশের পুকুর থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে, সেই মিনসার স্থানীয় তৃণমূল নেতা। পঞ্চায়েত ভোটে বোমা, বন্দুক নিয়ে অশান্তি করতেই শাসকদল এসব করছে।’’ তৃণমূলের তরফে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বিরোধীদের তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘তৃণমূল কর্মীরা যে পুকুরে বোমা রেখেছে তার কোনও প্রমাণ নেই। এরকম অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনের সময় করে। এখন শাসকদলের নামে দোষ চাপিয়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে। তবে পুলিশ পুলিশের কাজ করুক। ওই ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেস কি না খবর নিয়ে দেখব।’’