বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: মাধ্য়মিকের ইংরাজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রর ছবি ছড়িয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কে বা কারা এর মূলে রয়েছে, কোথা থেকে তা ফাঁস হয়েছে, সেই সূত্র চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে শনিবার জানালেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সতর্কও করা হয়েছে। এদিন মাধ্যমিকের ভূগোল পরীক্ষা চলাকালীন নদিয়ার মীরাপলাশী হাই স্কুল, বেথুয়াডহরি জেসিএম হাই স্কুল, ধুবুলিয়া সুভাষিনী উচ্চ বিদ্যালয়, নবদ্বীপধাম বিদ্যাপীঠ পরিদর্শন করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। তারপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
পরীক্ষা চলাকালীন ইংরাজি প্রশ্নপত্রের তিনটি পাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ প্রসঙ্গে রামানুজবাবু এদিন বলেন, “আমি আগেই বলেছি, এটি একটি অন্তর্ঘাত। যদিও সম্ভাব্য সোর্স আইডেন্টিফাই আমরা ইতিমধ্যেই করে ফেলে জেলা প্রশাসনকে তা জানিয়ে দিয়েছি। সাইবার ক্রাইমকে জানিয়েছি। আমাদের চিহ্নিতকরণ নিয়ে নিশ্চিত না হলে এখনই কিছু বলা উচিত নয়।”
[আরও পড়ুন: ‘ছিঃ! এত পচা লোকজন তৃণমূল করে! কে ঢোকাল দলে?’, কুন্তল ইস্যুতে প্রশ্ন মদনের]
পরে তাঁর আরও সংযোজন, “এটা কে করল, কীভাবে পাঠাল, কার কাছে পাঠাল, সেটা জানতে তদন্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।” মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কথায়, “শুক্রবার দুপুর ১ টা ৪০/৪২ মিনিট নাগাদ বিষয়টি আমি শুনেছি। কোথাও একটা টুইট হয়েছে। সেই টুইটের প্রেক্ষিতে বলা যায়,পরীক্ষার্থীদের বা পরীক্ষার উপর কোনও প্রভাব পড়েনি। কারণ,তখন সবাই ভিতরে ছিল। বাইরে তখন এসবের কী প্রয়োজন ছিল, জানি না। যাই হোক,এমনটা হয়েছে যখন,তখন সোর্স আইডেন্টিফাই আমরা করে ফেলেছি। ১২ ঘন্টার মত সময় লেগেছে।” পলাশী, বেথুয়াডহরি, ধুবুলিয়া হয়ে নবদ্বীপে পৌঁছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পূর্ব বর্ধমানের দিকে চলে যান।
শুক্রবার দুপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি টুইট করেন। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লেখেন, “আজ মাধ্যমিকের ইংরাজি পরীক্ষা। সকল পরিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাই। যদিও আজ সকাল থেকেই এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরাজি প্রশ্নপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু সময়ের মধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।” সুকান্তর আরও দাবি, মালদহে মূলত মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। ১২টা ৪৮ মিনিট নাগাদ তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্রটি পেয়েছেন বলেই খবর। সুকান্তর অভিযোগ, মালদহের তৃণমূল শিক্ষা সেলের এক নেতা এই প্রশ্ন ফাঁস করেছেন।