রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে সংগঠনকে ঢেলে সাজাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। সেই লক্ষ্যে এবার বড়সড় সাংগঠনিক রদবদল করে ফেললেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। দোলের দিনই রাজ্যের পঁচিশটি সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হল। এর মধ্যে ১৫ জন জেলা সভাপতিই নতুন। বাকি রইল ১৮ টি জেলার সভাপতি বাছাই। আগামী ২, ৩ দিনের মধ্যে তাও ঘোষণা করা হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। আর তারপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণার সম্ভাবনা।

বিরোধী দলনেতার খাসতালুক অর্থাৎ তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় বিজেপি সভাপতি পরিবর্তন হওয়ার কথাই ছিল। কারা সভাপতি হচ্ছেন, তা বৃহস্পতিবারই মনোনয়নে জমা দেওয়ার পর পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি হিসেবে মলয় সিনহার নাম ঘোষণা করা হল শুক্রবার। তমলুক সংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি ছিলেন বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। তিনি এ সপ্তাহেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই তাপসীর বদলে তমলুকের বিজেপি সভাপতি হলেন মলয়। বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হলদিয়ায় দলীয় বৈঠকেই মলয় সিনহার নাম ঘোষণা করেছিলেন।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি হয়েছেন সোমনাথ রায়। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, বিধায়করা আর জেলা সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না। তাই কাঁথির বিধায়ককে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হল। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার সভাপতি অপরিবর্তিত। উত্তরে তমোঘ্ন ঘোষ ও দক্ষিণ কলকাতায় অনুপম ভট্টাচার্যের উপরই আস্থা রেখেছে দল। কলকাতা উত্তর শহরতলির জেলা সভাপতি বদল করা হয়েছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, মালদহ উত্তর ও দক্ষিণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন সভাপতিদের। জেলা সভাপতি বদল করে ছাব্বিশের নির্বাচনী লড়াইয়ে কি নিজেদের বুথ সংগঠন শক্ত করতে পারবে বঙ্গের গেরুয়া শিবির? সেই প্রশ্ন থাকছেই।