সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুটখা ও তামাক নিষিদ্ধ ঘোষণা করল রাজ্য। সম্প্রতি ফুড সেফটি কমিশনার তপন রুদ্র একটি নির্দেশিকা জারি করেন। তাতে বলা হয়, ৭ নভেম্বর থেকে এ রাজ্যে গুটখা, পানমশলা ও তামাক প্রকাশ্যে উৎপাদন করা, বিক্রি করা ও মজুত করা যাবে না। কেউ করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেই গণ্য হবে। যেহেতু খাদ্য পণ্য হিসেবে এগুলি একবছরের বেশি নিষিদ্ধ করা যায় না, তাই প্রতি বছরই এই বিজ্ঞপ্তি বেরোয়।
উল্লেখ্য, ৭ নভেম্বর জাতীয় ক্যানসার সচেতনতা দিবস। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, গত তিন-চার বছর ধরেই রাজ্যের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হচ্ছে। কারণ, ‘চিউয়িং টোব্যাকো’ আইন মোতাবেক খাদ্য সামগ্রীর তালিকাভুক্ত। তাই এক বছরের বেশি ‘নিষিদ্ধ’ করা যায় না। প্রতি বছর ‘রিনিউ’ করতে হয় নিষেধাজ্ঞার। এ বছরও তাই হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, আগামী পুজোয় লম্বা ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
২০১১ সালে তামাকযুক্ত পানমশলা ও গুটখা নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে আইন বাঁচিয়ে মশলা ও জর্দা আলাদাভাবে উৎপাদন ও বিক্রি হচ্ছিল। নেশাড়ুরা মশলা ও জর্দা আলাদাভাবে কিনে মিশিয়ে খাচ্ছেন। ফলে ওরাল ক্যানসার বেড়েই চলেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী জানান, ক্যানসার মোকাবিলায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ডা. দেবাশিস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তি জারি হল। এবার তা বলবৎ করার পালা। কাজটা কঠিন। কিন্তু অসম্ভব নয়। রাজ্যের অঙ্কোলজিস্টরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, “ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ ওরাল ক্যানসারের শিকার। এতটাই ভয়াবহ। ‘চিউয়িং টোব্যাকো’ নিষিদ্ধ হলে ওরাল ক্যানসারের দাপট অনেক কমবে।” তবে নিষেধাজ্ঞার পরেও গুটখার ব্যবহার আদৌ কমে কি না, সেটাই দেখার।
The post চলতি মাস থেকেই বাংলায় নিষিদ্ধ গুটখা ও তামাকজাত পানমশলা, নিয়ম ভাঙলেই কড়া শাস্তি appeared first on Sangbad Pratidin.
