সুমন করাতি, হুগলি: শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এই কেন্দ্রে সিপিএমের মুখ দীপ্সিতা ধর। তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মূল প্রতিপক্ষ। বিদায়ী সাংসদকে হারানোই চ্যালেঞ্জ তাঁর। তাই তো গরমের মধ্যে কোমর বেঁধে প্রচারে ব্যস্ত দীপ্সিতা। প্রচারের মাঝে কী খাচ্ছেন তিনি?
চৈত্রেই ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই তাপমাত্রা। গরমে বাইরে বেরনো কার্যত দায় হয়ে গিয়েছে। অথচ সেই গরমকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই প্রচার সারতে হচ্ছে প্রার্থীদের। যাচ্ছেতাই অবস্থা। কিন্তু সামনেই ভোট। তাই প্রচারে কোনও খামতি রাখা যাবে না। শনিবার দলীয় কর্মীদের নিয়ে কোন্নগর চটকল এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন দীপ্সিতা। হুডখোলা টোটো করে প্রচার করেন। পায়ে হেঁটে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যান।
[আরও পড়ুন: ED’র বাজেয়াপ্ত টাকা ফেরাবেন মোদি, মাথাপিছু কত করে? হিসাব বুঝিয়ে ‘জুমলা’ তোপ অভিষেকের]
ভোটপ্রচারের মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়লেই বা চলবে কী করে? তাই শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর (Dipsita Dhar) চৈত্রের গরমে একদম সাদামাটা খাওয়াদাওয়া করছেন। প্রচারের ফাঁকে দুপুরে দলীয় কর্মীদের বাড়িতে খাওয়া সারছেন। দীপ্সিতা জানান, যে যা খাওয়াচ্ছেন, সেটাই খাচ্ছেন। আলুপোস্ত খেতে ভালোবাসেন। তাই দুপুরের মেনুতে ভাত, ডালের সঙ্গে আলুপোস্তও থাকছে মাঝে মধ্যে। আবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষও (Manodip Ghosh) দিনরাত ব্যস্ত ভোট প্রচারে। জনসংযোগের মাঝে তিনি ঠোঙা থেকে বের করে খাচ্ছেন মুড়ি। সঙ্গে কখনও থাকছে চানাচুর। আবার কখনও বাতাসা।
প্রচণ্ড গরমে ভোটপ্রচারের ব্যস্ততায় নিজেকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ডায়েট চার্ট মেনে খাওয়াদাওয়া করছেন রচনাও। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ জানিয়েছিলেন, “সত্যিই খুব গরম লাগছে। তাই একটু ফল, ডাবের জল খাচ্ছি। তেল মশলা নয়, হালকা ফুলকা খাবার খাচ্ছি। জল বেশি করে খাচ্ছি।” তবে দুমাস পর ত্বক, চুলের যত্ন নেবেন বলেও জানান রচনা। চিকিৎসকরাও এই গরমে বেশি তেলমশলা জাতীয় খাবারদাবার খেতে বারণই করছেন। পরিবর্তে হালকা খাবারদাবার, প্রচুর জল এবং সুতির পোশাকের উপরেই ভরসা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রার্থীদের।