বাবুল হক, মালদহ: জেলার রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র মানেই মালদহের কোতয়ালি। প্রয়াত গনি খান চৌধুরির কোতয়ালি ভবনের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগ তুলে আবাহমানকাল ধরেই ভোটযুদ্ধে গলা ফাটিয়েছে বামেরা। তাতে অবশ্য খান চৌধুরি পরিবারের সদস্যদের রোখা সম্ভব হয়নি। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই পরিবারতন্ত্রের কাঁধে ভর করেই ভোটযুদ্ধে বৈতরণি পার হওয়ার খোয়াব দেখছে বাম শিবির। আর এনিয়েই শুরু হয়েছে শাসক বনাম বাম শিবিরের তরজা। মালদহ জেলা পরিষদের চাঁচোল মহকুমা এলাকার দু’টি আসনে বাম প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন একই পরিবারের দুই সদস্য। তাঁরা সম্পর্কে মা ও ছেলে। দু’জনই আরএসপি দলের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেশ করেছেন।
[বিক্ষুব্ধ সিপিএম কর্মীকে টিকিট দিয়েই টার্গেট হলেন শাসনের সইফার রহমান!]
শুধু তাই নয়, তাঁরা চাঁচোল মহকুমা এলাকার হেভিওয়েট আরএসপি নেতা তথা মালতিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সির পরিবারের সদস্য। প্রাক্তন বাম বিধায়ক রহিম বক্সির ছেলে বাবু বক্সি চাঁচোল-দুই নম্বর ব্লকের ১৬ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে, রহিমবাবুর স্ত্রী আয়েশা খাতুন রতুয়া-এক নম্বর ব্লকের ২১ নম্বর আসনে জেলা পরিষদের প্রার্থী হচ্ছেন। প্রাক্তন বিধায়কের স্ত্রী ও ছেলের প্রার্থী হওয়ার ঘটনা এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের চমক বলেই ওই দলের নিচুতলার কর্মীরা মনে করছেন।
এই প্রসঙ্গে সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মু বলেন, “কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের সঙ্গে এটাকে গুলিয়ে দেওয়া উচিত হবে না। পঞ্চায়েত ভোটে তো নেতা-কর্মীদের ছেলেমেয়েরাই প্রার্থী হয়ে থাকেন। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। মূল কথা হল, তৃণমূল ও বিজেপিকে রুখতে হবে।” জোট-ঘোঁটের শর্তে জেলা কংগ্রেস নেতারা অবশ্য বামেদের এই পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে কোনওরকম উচ্চবাচ্য করছেন না। কেউই প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি। রতুয়া-এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক বলেন, “পরিবারতন্ত্রের ছায়া এবার বাম শিবিরেও। তবে আমরা তাতে আমল দিচ্ছি না। স্ত্রী ও পুত্রকে প্রার্থী করেছেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক। কিন্তু তিনি নিজে দাঁড়ালেও তৃণমূলের প্রার্থীদের কাছে গো-হারা হারতেন। ওই দু’টি আসনেই তৃণমূল প্রার্থীদের নিশ্চিত জয় হবে।”
