সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ইস্যুতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন এবং শাসকদল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) দুই শাগরেদ শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে। এর মধ্যে উত্তম সর্দারকে আগেই সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল (TMC)। এবার পুলিশের হাতে ধৃত ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধেও কি একই শাস্তির খাঁড়া নেমে আসবে? রবিবার এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু।
রবিবার সন্দেশখালি সংলগ্ন ন্যাজাটে গিয়েছিলেন সুজিত বসু, পার্থ ভৌমিক, বীরবাহা হাঁসদা। তাঁরা সকলেই উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটির সদস্য। সেখানে শিবির করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে জমি দখল করে অথবা লিজের টাকা না দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সে প্রসঙ্গেও হস্তক্ষেপ করেন তাঁরা। পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসু সকলেই জানান, পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রয়েছে দলের। স্থানীয়দের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তৃণমূলের প্রতিনিধিদল গ্রামে গ্রামে বাড়িতে ঘুরে অভিযোগ শুনবেন। যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের টাকা ফেরত দিতে তৎপর দল।
[আরও পড়ুন: ‘প্যান্ট পরোনি কেন?’, ফিনল্যান্ডের ছবি শেয়ার করতেই কটাক্ষের মুখে সোহিনী]
শিবপ্রসাদ হাজরা ছিলেন সন্দেশখালি ২ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। তিনি গ্রেপ্তার হয়ে যাওয়ার পর সেই জায়গায় আপাতত দায়িত্ব সামলাবেন স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। রবিবার সেকথাই জানিয়েছেন দমকল মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য সুজিত বসু। এর পরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তবে কি শিবপ্রসাদ হাজরাকে সাসপেন্ড করছে দল? জবাবে সুজিত বসু (Sujit Bose) বলেন, ”শিবু হাজরার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আপাতত সন্দেশখালি-২’এর দায়িত্ব সামলাবেন আমাদের বিধায়ক সুকুমার মাহাতো।” তাঁর কথা থেকেই স্পষ্ট, অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করা হলেও শিবপ্রসাদে এখনও নরম শাসকদল।