সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: সুপ্রিম রায়ে টিচার-ইন-চার্জের চাকরি চলে যাওয়াই বিপাকে স্কুল-ই! মাথায় হাত স্কুলের পরিচালন সমিতি থেকে অভিভাবক, এবং পড়ুয়াদের। কারণ পুরুলিয়ায় এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে একজন মাত্র শিক্ষক। বাকিরা গেস্ট টিচার। একমাত্র শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় ওই টিচার- ইন-চার্জ-র দায়িত্ব কি সেই অতিথি শিক্ষকদের দেওয়া হবে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির পরিচালন সমিতি থেকে শিক্ষাদপ্তরে।
কাশিপুর ব্লকের আহাত্তোড় জুনিয়র হাই স্কুলের এখন এমনই অবস্থা। এই স্কুল এক শিক্ষক বিশিষ্ট। সেখানকার টিচার-ইন-চার্জ বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহি-র বাসিন্দা অভিষেক প্রসাদের চাকরি চলে যাওয়ায় ওই স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ-র দায়িত্ব কে সামাল দেবে বুঝতে পারছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাকি দু'জনই গেস্ট টিচার।
একইভাবে জয়পুরের উপরকাহন আপার প্রাইমারিতেও টিচার-ইন-চার্জ রাজীব মণ্ডলের চাকরি গিয়েছে। তিনি এসএসসিতে নবম-দশম শ্রেণির উত্তীর্ণ জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক। তবে স্কুলের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি সুপ্রিম রায়ের পরেও স্কুলে যাচ্ছেন। ছাত্র পড়াচ্ছেন এবং টিচার ইনচার্জ-র যে যে কাজ করণীয় সবই করছেন। তাঁর কথায়, "এখনও তো শিক্ষাদপ্তরের কাছ থেকে কোন নোটিস পাইনি। তাই স্কুলে যাচ্ছি। সবচেয়ে বড় বিষয় হল ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আমি টিচার-ইন-চার্জ। আর অন্যের হাতে দায়িত্ব না সঁপে এভাবে তো চলে যেতে পারব না। একটা তো দায় থেকে যায়। সেই কারণেই আমি স্কুলে যাচ্ছি।" যদিও এই স্কুলের আরও যে দুজন শিক্ষক রয়েছেন তারা স্থায়ী।
একই অবস্থা রঘুনাথপুরের এমএম হাই স্কুলের। এখানকার টিচার ইনচার্জ সুকুমার পাত্র। সংস্কৃতের এই শিক্ষক প্রাথমিকের চাকরি ছেড়ে এখানে যোগ দেন। তার চাকরি চলে যাওয়ায় তিনি আর স্কুলে যাচ্ছেন না। ফলে সমস্যায় পড়েছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই অবস্থায় কে চালাবে স্কুল বুঝতে পারছে না স্কুলের পরিচালন কমিটি। ওই শিক্ষকের কথায়, "আমি মাস তিনেক আগে টিচার- ইন-চার্জের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। চাকরি চলে যাওয়ার পর স্কুলের পরিচালন সমিতিকে জানিয়ে আর স্কুলে যাইনি। মানসিকভাবে আমি ভীষণই বিপর্যস্ত। "