নিরুফা খাতুন: শেষবেলায় শীতের হাড়কাঁপুনি টের পাইয়ে যাবে পৌষ! এমনই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। বুধবার থেকে পারদ পতন। কলকাতার তাপমাত্রা নামতে পারে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে ভিলেন কুয়াশা। মঙ্গলবার সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলির বিস্তীর্ণ অংশ। দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম থাকায় যানবাহন চলাচলেও সমস্যা হয়। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, কুয়াশার চাদর ধীরে ধীরে সরবে বুধবার থেকে। উত্তরের পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর দক্ষিণে ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে ১০ জানুয়ারি নাগাদ। জেড স্ট্রিম উইন্ড রয়েছে উত্তর ভারতে। এছাড়া রাজস্থানের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। মধ্য মহারাষ্ট্র এবং অসমের সংলগ্ন এলাকাতেও ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান। সব কিছুর প্রভাবে চলতি সপ্তাহটা কাটবে উষ্ণ শীতের আবহেই। বুধবার থেকেই নিম্নমুখী হবে তাপমাত্রা। শুক্রবারের মধ্যে তা দু থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের দুই জেলা ছিল ঘন কুয়াশায় ঢাকা। দার্জিলিংয়ে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা মঙ্গলবার রাত বা বুধের সকালে। আসলে সিকিমে ব্যাপক তুষারপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস। আর তার প্রভাবেই উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকাও বুধবার কুয়াশার দাপট অনেকটাই কমবে। আজ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকবে। বুধবার সকালে বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার - এই চার জেলাতে। মূলত হালকা বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে কোথাও কোথাও।
কলকাতায় আরও একটু বাড়ল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দিনভর আংশিক মেঘলা আকাশ, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার পরোক্ষ প্রভাবে সামান্য বেড়েছে উষ্ণতা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে গেলে পারদ নিম্নমুখী হলেও আপাতত কনকনে ঠান্ডার সম্ভাবনা নেই। আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াম। সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.১ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫১ থেকে ৯৪ শতাংশ। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।