রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সঠিক চিকিৎসা হয়নি। তার জেরেই মৃত্যু হল এক মহিলার। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে তেহট্টের (Tehatta) মহকুমা হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। জানা গিয়েছে, মৃতার পরিবারের তরফে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করা হবে হাসপাতালের সুপারের কাছে।
[আরও পড়ুন: পূর্ব কলকাতায় স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুন নাকি আত্মহত্যা? বাড়ছে রহস্য]
ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধেবেলা মঞ্জু মন্ডল নামে ৪১ বছর বয়সি এক গৃহবধূকে তেহট্টের মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাঁর চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে বারবার ডেকেও ডাক্তার বা নার্স কাউকেই পাওয়া যায়নি বলে মঞ্জুদেবীর পরিবারের অভিযোগ। ইমারজেন্সিতে নিয়ে গেলেও রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে নার্সদের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় মঞ্জুদেবীর।
এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তেহট্ট থানার পুলিশ। তাঁদের হস্তক্ষেপে কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মঞ্জুদেবীর ছেলে অভিজিৎ মণ্ডলের দাবি, দীর্ঘক্ষণ ধরে অসুস্থ থাকার পরেও তাঁর মায়ের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি হাসপাতাল। তাই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন তাঁরা।