অর্ণব দাস, বারাসত: জাতীয় সড়কের উপরই প্রায় প্রতি রাতে বাইক রেস চলে বলে অভিযোগ। আর সেই বাইক রেসের মধ্যে পড়ে প্রাণ হারালেন এক মহিলা। তাই নিয়ে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত নোয়াপাড়া এলাকা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। বাইক রেস বন্ধের জন্য জোরালো দাবি তোলা হয়েছে।

মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। মৃতার নাম অসীমা দাস। তিনি দত্তপুকুরের মণ্ডলগাছি এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, বারাসতের নোয়াপাড়া এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় যুবকরা বাইক নিয়ে রাতে রেস করে। গতকাল রাতে অসীমা দাস নোয়াপাড়া এলাকায় প্রতিবেশীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সেসময় ওই বাইক আরোহীরা দ্রুতগতিতে চলে আসে। ওই মহিলাকে ধাক্কা মারলে তিনি রাস্তাতেই পড়ে যান। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এক বাইক আরোহীকেও ধরে ফেলা হয়। রক্তাক্ত ওই মহিলাকে উদ্ধার করে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। বারাসত থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। ওই এলাকায় বাইক নিয়ে মদ্যপদের দাপাদাপি চলে নিত্যদিন। জাতীয় সড়কের উপরে চলে বাইকের রেস। ওই এলাকায় স্কুলও আছে। দিনেদুপুরেও দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। আতঙ্কিত থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। রাতের ওই দুর্ঘটনার ফলে প্রবল বিক্ষোভ চলতে থাকে। বাইক জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও হয়। পুলিশকে ঘিরে ধরে চলতে থাকে কথা কাটাকাটি, বিক্ষোভ। পরে বারাসত থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপরেই শান্ত হন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে দুর্গাপুরের পানাগড়ে রাতে দুটি গাড়ির রেষারেষি হয়েছিল। ঘটনায় গাড়ি উলটে দুর্ঘটনায় মারা যান হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলেছিল মৃতার পরিবার। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার তত্ত্বকে সামনে আনা হয়।