দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রতিমাসে হাতে নগদ অর্থ পাচ্ছেন রাজ্যের মহিলারা। প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের কাছে তা শুধু দেড় হাজার বা দুহাজার টাকা নয়। স্বনির্ভর হওয়ার পথও বটে। তা নিয়ে বারবার মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাঁরা। এবার সেই টাকা জমিয়ে 'ঘরের তথা রাজ্যের মা-লক্ষ্মী' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭০তম জন্মদিন পালন করলেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা।
সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের আমঝাড়া পঞ্চায়েতের তালদা সন্তোষপাড়া। প্রত্যন্ত গ্রাম। বাসিন্দাদের অনেকের প্রায় নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সেই ক্ষতে অনেকটা প্রলেপ দিয়েছে। আর্থিক কষ্ট থাকলেও যিনি তাঁদের স্বপ্ন দেখা শিখিয়েছেন, শিরদাঁড়া শক্ত করেছেন তাঁর জন্মদিন পালন করবেন না? তা কী হয়? আজ মুখ্যমন্ত্রীর ৭০তম জন্মদিন তা জানতে পেরেই সন্ধ্যার প্রাক মুহূর্তে শঙ্খ ও উলুধ্বনি দিয়ে কেক কেটে দিনটি পালন করলেন বধূরা।
কেন এমন উদ্যোগ? এই প্রসঙ্গে সন্তোষ পাড়ার স্বপ্ন গায়েন,শঙ্করী মিস্ত্রী,রঞ্জিতা সরকাররা জানান, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ঘরের তথা রাজ্যের মা-লক্ষ্মী। গ্রামের মেয়ে-বধূদের কথা তিনিই সর্বপ্রথম ভেবেছেন। শুধু ভাবা নয়। মহিলাদের অর্থনৈতিক সাহায্য করতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করছেন। আমরা অনেকেই সেই টাকায় স্বনির্ভর। ফলে যে লক্ষ্মীর জন্য আমরা অর্থনৈতিক ভাবে স্বনির্ভর,তাঁর জন্মদিন পালন না করে থাকা সম্ভব নয়। সেই কারণেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করেছি।" পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু এবং শারীরিক সুস্থতা কামনা করেছেন তাঁরা। ঘটনা প্রসঙ্গে সুন্দরবনের কবি তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী ফারুক আহমেদ সর্দার জানিয়েছেন, "প্রত্যন্ত সুন্দরবনের আমঝাড়া পঞ্চায়েতের তালদা মাষ্টার পাড়ার মহিলারা যে ভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭০তম জন্মদিন পালন করলেন তা এক প্রকার বিরল।"