সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই বাংলা সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেনের। রায়-ঘটক-সেনের। কালক্রমে সেই ধারা নিজের কাঁধে বহন করে নিয়ে এসেছেন অপর্ণা সেন, ঋতুপর্ণ ঘোষ, গৌতম ঘোষ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্তদের মতো বাংলার সিনে উত্তরসূরীরা। এবার জাতীয় স্তরে বিভিন্ন রাজ্যের সেরা পরিচালকদের নীরিখে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া ডট ইন ডট পিক্সেল নামক এক সংস্থা। যা শেয়ার করেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। যিনি নিজেও চার চারবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
কন্টেন্ট ভালো হলেও বক্স অফিসের ক্যাশবাক্সে ভাঁড়ে মা ভবানী! বাংলা সিনেমার সুদিন আর দুর্দিন নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। একে বাঁধা বাজেট। উপরন্তু নানা টেকনিক্যাল প্রতিকূলতা। তবুও ‘দৌড়চ্ছে’ বাংলা ভাষার সিনেমা! বাংলায় যেখানে বলিউড কিংবা দক্ষিণী ছবিগুলো রমরমা ব্যবসা করে বেরিয়ে যায়, সেখানে হালে পানি পায় না বাংলা ছবিই। কখনও স্ক্রিন সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয় তো কখনও বা বিগ বাজেট হিন্দি সিনেমা থেকে মুনাফা লাভের আশায় বাংলা ছবিকে হল থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তবুও আটকে রাখা যায়নি বাংলা সিনেইন্ডাস্ট্রিকে। এযাবৎকাল দেশের সেরা পরিচালকদের নীরিখে জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে এগিয়ে বাঙালিরাই। সৃজিতের মন্তব্য, “সাতসকালে উঠে এরকম একটা খবর দেখলে নিজেকে বলা যায়, এবার নিশ্চিন্তে মরে যেতে পারি।”
বৃহস্পতিবার সাত সকালেই এমন খবর শেয়ার করেই টলিউডকে চাঙ্গা করার টনিক জোগালেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। বাংলা ভাষার পাশাপাশি পরিচালক এখন বলিউডেও কাজ করছেন। একাধিকবার জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন সৃজিত। এবার ইন্ডিয়া ডট ইন পিক্সেলের এক তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন তিনি। যা কিনা চমকে দেওয়ার মতো। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের পরিচালকদের মধ্যে সবথেকে বেশি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন বাঙালিরাই। সেই তথ্যে সেটা স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘হীরামাণ্ডি’র ফার্স্টলুক টিজারেই বাজিমাত বনশালির, দাপুটে গণিকার চরিত্রে মণীষা-সোনাক্ষীরা]
১৯৬৭ সাল থেকে ২০২১ সালের তথ্যের নীরিখে একটি বিশেষ রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে ওই সংস্থা। তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, সেরা পরিচালনার জন্য বাঙালিরা মোট ২১বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। দ্বিতীয়স্থানেই রয়েছে মালায়লি ভাষার ছবি। যাদের ঝুলিতে রয়েছে ১৪টি পুরস্কার। সেই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে- মারাঠি, তামিল, গুজরাতি ভাষার পরিচালকরা।