সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নর্থ আমেরিকান বঙ্গ সম্মেলনে গিয়ে চূড়ান্ত অপদস্থ হতে হয়েছে বাংলার শিল্পীদের। প্রাপ্য পারিশ্রমিক না পাওয়া থেকে হোটেলের ঘর নির্ধারিত সময়ের আগে ছেড়ে দেওয়া, খাওয়া-দাওয়ার অব্যবস্থা, অনুষ্ঠানের উদ্ভট সময়সূচী- নানাভাবে বাংলার বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী জয়তী চক্রবর্তী, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীদের অপ্রীতিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয় সেদেশে। প্রশ্ন ওঠে উত্তর আমেরিকার বঙ্গ সম্মেলন অনুষ্ঠানের আয়োজকদের আতিথেয়তা নিয়েও! এমতাবস্থায় বিদেশ বিভুঁইয়ের মাটিতে বাংলার শিল্পীদের অসম্মান, অপমান নিয়ে যখন তর্ক-বিতর্কের অন্ত নেই, তখন এমন এমন অনভিপ্রেত ঘটনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বাংলার বিশিষ্ট শিল্পীরা।
সমাজমাধ্যমের পাতায় এক খোলা প্রতিবাদী চিঠি দিয়ে আওয়াজ তুলেছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, রূপম ইসলাম, ইমন চক্রবর্তী, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, থেকে অঞ্জন দত্ত, জয় সরকার, সোহিনী সরকারের পাশাপাশি বহু তারকারা। সেই পত্রে উল্লেখ, “উত্তর আমেরিকা বঙ্গ সম্মেলন ২০২৩, আটলান্টিক সিটিতে ঘটে যাওয়া কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রতিবাদপত্র। পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী, বিদ্বজ্জনের লাগাতার হেনস্থা এখন বঙ্গ সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণীয় এক অনুষ্ঠান। পূর্বের সম্মেলনগুলিতেও এমন উদাহরণ অসংখ্য। তবে এবারের সম্মেলন বোধহয় আগের সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। অব্যবস্থা, অসৌজন্য, অমার্জিত ব্যবহার, অসহযোগিতা শিল্পীদের আত্মসম্মানবোধে আঘাত করে চলেছে ক্রমাগত।”
এর পাশাপাশি শিল্পীরা অবশ্য এও সংযোজন করেন যে, “ভদ্রতাবোধকে দুর্বলতা ভেবে একের পর এক অপমানসূচক ঘটনা সম্মেলন কর্তারা ঘটিয়েই চলেছেন। অতিথি শব্দটার সঙ্গে যে বিশ্বজনীন আতিথ্যের সংযোগ- তা তারা ভুলতে বসেছেন। এই পরিস্থিতিতে, বাংলার সব শিল্পী আজ সিএবি’র যে কোনও অনুষ্ঠান নিয়ে চূড়ান্ত আতঙ্কিত, অপমানিত। তাই একজোট হয়ে আজ তীব্র প্রতিবাদ জানাই সিএবি’র স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে।”
[আরও পড়ুন: ‘পুরুষ মাস্টারমশাইরা একযোগে আমাকে কোণঠাসা করেন’, বিস্ফোরক গায়িকা সাহানা বাজপেয়ী]
নর্থ আমেরিকান বঙ্গ সম্মেলন আয়োজকদের একহাত নিয়ে বাংলার বিশিষ্ট শিল্পীদের মন্তব্য, “অপমানের আকস্মিকতায় আমরা মূক ও স্তম্ভিত। ভবিষ্যতের কর্মপন্থা কী হবে? তা অচিরেই প্রকাশ করব আমরা। ধিক্কার জানাই সংগঠকদের যারা এই রুচিহীন সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। বঙ্গ সম্মেলনের জনপ্রিয়তা বিশিষ্ট, স্বনামধন্য শিল্পীদের জন্য। অপদার্থ সংগঠকদের জন্য নয়। একথা যেন তারা ভুলে না যান। সংস্কৃতিমঞ্চ আমাদের কাছে পবিত্র এক জানলা। তাকে নোংরা করার অধিকার আপনাদের কেউ দেয়নি। আমাদের শিল্পীজীবন আমাদের নিজস্ব। সেই আত্মসম্মানের জায়গায় কেউ হাত দিলে, সাবধান! গর্জে উঠবে বাংলার সব শিল্পীদল।”