সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যা বিধ্বস্ত অসমে প্রাণ হারালেন এক ভারতীয় জওয়ান (Indian Army Jawan)। রবিবার সকালে পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত জওয়ানের নাম নারায়ণ চন্দ্র। ভারতীয় টেরিটোরিয়াল আর্মিতে (Territorial Army) নারায়ণের পোস্টিং ছিল গুয়াহাটিতে (Guwahati)। মৃত নারায়ণ আশোকনগরের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরের কল্যাণগড়ে।
কিছুদিন আগেই ভয়াবহ বন্যায় কার্যত ডুবে ছিল গোটা অসম (Assam Flood)। জানা গিয়েছে, পাহাড়ি রাস্তায় বাইক চালাচ্ছিলেন নারায়ণ। আচমকাই বাইকের চাকা পিছলে যায়। তার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় ওই জওয়ানের। জানা গিয়েছে, কাজের জন্যই তাঁকে সকালে বাইক নিয়ে বেরতে হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: গণধর্ষণ কাণ্ডে উত্তাল হায়দরাবাদ, নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ্যে এনে বিপাকে বিজেপি বিধায়ক]
ইতিমধ্যেই খবর পেয়েছেন মৃত জওয়ানের (Bengali Jawan) বাড়ির সদস্যরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার দুপুর আড়াইটেয় শেষবার স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছিল নারায়ণের। আগামী শুক্রবারেই তিনি অশোকনগরের বাড়িতে ফিরবেন বলে কথা ছিল। কিন্তু এখন তাঁর কফিনবন্দি দেহ ফেরার অপেক্ষা করছে তাঁর পরিবার। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শোকে মূহ্যমান উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) অশোকনগর।
মৃত জওয়ান নারায়ণের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, খুবই মিশুকে স্বভাবের মানুষ ছিলেন তিনি। স্থানীয় একটি জগদ্ধাত্রী পুজোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। পুজোর সময়ে সমস্ত দায়িত্ত্ব পালন করতেন তিনি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আপাতত পোস্ট মর্টেমের জন্য রাখা হয়েছে নারায়ণের দেহ।
প্রসঙ্গত, ভয়াবহ বন্যায় অসমে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। সাধারণ মানুষ বাড়ি-ঘর তো হারিয়েছেনই, সেই সঙ্গে ফসলের জমিরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ৮০ হাজার হেক্টরেরও বেশি ফসলের জমি বন্যার জলে ক্ষতিগ্রস্ত। জলের নীচে চলে গিয়েছে ২ হাজার ২৫১টি গ্রাম। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও ২১ হাজারের বেশি বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে এসেছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছে প্রশাসন। কাছার ও ডিমা হাসাওয়ে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে দু’কোটি টাকা করে অর্থ সাহায্য ঘোষণা করেছে অসম সরকার (Assam Government)।