আকাশ মিশ্র: ৬৯ তম জাতীয় পুরস্কারে এবার সেরা বাংলা ছবির সম্মান ছিনিয়ে নিল শর্মিষ্ঠা মাইতি ও রাজদীপ পালের প্রথম ছবি ‘কালকক্ষ’। করোনা আবহকে প্রেক্ষাপটে রেখে তৈরি এই ছবি প্রথম থেকেই সিনেপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। জাতীয় পুরস্কারে বাংলার হয়ে নজর কেড়ে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত ছবির পরিচালক শর্মিষ্ঠা মাইতি ও রাজদীপ পাল।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের তরফ থেকে শর্মিষ্ঠাকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ”খুশি তো অবশ্য়ই। প্রথমে অবিশ্বাসও লাগছিল। তবে মনে হচ্ছে আমরা পারলাম। আসলে এই ছবি তৈরি করার সময় থেকেই প্রচুর ওঠা-নামা দেখেছি। প্রচুর সমস্য়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল আমাদের। ছবির মুক্তির পরও তো সেভাবে প্রচারের সুযোগ পাইনি। খুব কম লোক এই ছবিটা দেখার সুযোগ পেয়েছিল। সেদিক থেকে দেখলে, এই সম্মান সত্যিই অভাবনীয় সাফল্য। তবে বিশেষ করে প্রথম ছবিতেই যে এই সাফল্যটা পেয়েছি আমরা, সেটা ভেবে আরও ভাল লাগছে।”
এই ছবির আরেক পরিচালক রাজদীপ পাল জানালেন, ”খুবই উত্তেজিত। বিশ্বাস করতে পারছি না একদম। প্রথম ছবিতে এরকম সাফল্য পেলাম আমরা, সেটা ভেবেই দারুণ আনন্দ হচ্ছে। ”
[আরও পড়ুন: ‘চাঁদ চেনে না লাল, সবুজ, গেরুয়া’, চন্দ্রযানের সাফল্য নিয়ে ‘রাজনীতি’তে ক্ষুব্ধ ঋদ্ধি সেন]
অতিমারী ছবি মুক্তিতে যেমন বিঘ্ন ঘটিয়েছে, এই ছবির বিষয়ের সঙ্গেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে অতিমারী-ক্লান্ত সময় এবং একঘরে-বিচ্ছিন্ন মানুষের জীবন। কালকক্ষ বেশ এক্সপিরিমেন্টাল ফিল্ম, বিষয়-ভাবনা চমৎকার।
প্যানডেমিকের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ছবির চিত্রনাট্য। বিধ্বস্ত মানুষের জীবন, তাদের অসহায়তা, মারণ রোগের প্রকোপ এবং চিকিৎসকদের অনিবার্য ভূমিকা টাইমলুপে মোড়া ছবির কাহিনির প্রাথমিক বিষয়। লকডাউনে ঠিক যেটা হয়েছিল আমাদের, ঘরে বন্দি থাকতে থাকতে দিন-সময়ের হিসেব ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছিল, এই ছবিতে তার সুস্পষ্ট ছাপ রয়েছে।