সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠাকুর দেখার লাইনে দাঁড়িয়ে হয়ে যাক! বউ বাপের বাড়ি, চুপি চুপি হয়ে যাক! ট্রেনের বার্থে সারারাত হয়ে যাক! পুজোর কলকাতা ছেয়ে গিয়েছে এরকমই বেশ কিছু আকর্ষণীয় ট্যাগলাইনের পোস্টারে। কী হয়ে যাক? তা নিয়ে জল্পনা ছিল বেশ ভালরকম। সোশ্যাল মিডিয়া ভাসছিল কৌতূহলে। টিজার যুদ্ধে কলকাতার নামী পুজোকেও যেন মাত দিয়েছিল এই ক্যাম্পেন। সাম্প্রতিক অতীতে এক সিমেন্ট প্রস্তুতকারক সংস্থা ও কলকাতার বড় দুর্গার টিজার যে উন্মাদনা তৈরি করেছিল, এ টিজারও মানুষকে আটকে রেখেছিল একই আকর্ষণে। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পুজোর মুখেই বাঙালি সিনেপ্রেমীদের একটি পুরোদস্তুর বাংলা বিনোদনের ডিজিটাল কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম উপহার দিল শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস।লঞ্চ হল ‘হইচই’ ওয়েব চ্যানেল। সেন্সরের ভ্রূকুটি এড়িয়ে সবরকমের বাংলা ছবি নিয়ে হাজির হচ্ছে তারা। বাংলায় এর আগে সিনেমার ওয়েব চ্যানেল থাকলেও এত বড় উদ্যোগ এই প্রথম।
[সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলাকে অশালীন মন্তব্য, ফের বিতর্কে ঋষি]
কী থাকতে চলেছে এই প্ল্যাটফর্মে? এককথায় বলতে গেলে বাংলা সিনেমা যাঁরা দেখতে ভালবাসেন তাঁদের কাছে এ যেন মেঘ না চাইতেই জল। হইচই অরিজিনালস-এ রয়েছে ৫০০র বেশি সিনেমার সম্ভার। সত্যজিৎ রায় থেকে শুরু করে ঋতুপর্ণ ঘোষ, উত্তমকুমার থেকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কে নেই সেই তালিকায়। রয়েছে পুরনো নতুন মিলিয়ে হাজারেরও বেশি গান। তবে এই ওয়েব চ্যানেলের অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে বেশি কয়েকটি ওয়েব সিরিজ। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে সেই সব ওয়েব সিরিজের ট্রেলার। যা সাড়া ফেলেছে দর্শক মহলে। সেখানে যেমন রয়েছে প্রেম-পরকীয়া-যৌনতার মিশেলে থ্রিলার ‘হ্যালো’, তেমনই রয়েছে ভুতের গল্প ‘কার্টুন’। ভূতই শুধু নয়, রয়েছেন ‘ব্যোমকেশ বক্সী’, রয়েছে উমা বৌদির ‘দুপুর ঠাকুরপো’। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ওয়েব সিরিজের মাধ্যমেই ‘হইচই’ বার্তা দিচ্ছে, সবধরনের দর্শকই তাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও দর্শকই তাঁর পছন্দের গল্প খুঁজে পাবেন এই ডিজিটাল কনটেন্ট প্ল্যাটফর্মে।
[ডান্স ফ্লোরেও সৌরভের দাদাগিরি, সঙ্গী বরুণ ধাওয়ান]
সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘হইচই’ নিয়ে হাজির হলেন এই ডিজিটাল কনটেন্ট প্ল্যাটফর্মের তিন কর্ণধার বিষ্ণু মোহতা, শ্রীকান্ত মোহতা ও মহেন্দ্র সোনি। ‘কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে চাকুরীজীবী, কলকাতাবাসী থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালিকে একসূত্রে বাঁধবে হইচই’, এমনটাই বলছেন বিষ্ণু মোহতা। পাশাপাশি শ্রীকান্ত মোহতা মনে করেন, ‘২০ বছর ধরে বড়পর্দা থেকে ছোটপর্দায় দর্শকদের বিনোদন উপহার দিয়েছে শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মস। এবার পালা ওয়েব প্ল্যাটফর্মের। তবে অন্যান্য যে কোনও মিডিয়ামের তুলনায় এই প্ল্যাটফর্মে শিল্পীর স্বাধীনতা এক বিশেষ মাত্রা পেতে চলেছে।’ অপর কর্ণধার মহেন্দ্র সোনি জানান, ‘এখানে Content is the king অর্থাৎ বিষয়ই এখানে মুখ্য’। সবমিলিয়ে এই ডিজিটাল কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম যে এক ক্লিকেই বাংলা ছবিকে পৌঁছে দেবে বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে তা বলাই বাহুল্য। তাই এই পুজোয় বাঙালি সিনেমাপ্রেমীরা বলতেই পারেন, ‘হইচই হয়ে যাক!’
The post টিজারে সাড়া জাগিয়ে পুজোর মুখেই বাঙালির হাতে এল ‘হইচই’ appeared first on Sangbad Pratidin.