অর্ণব আইচ: দুজন নয়, তিনজন আইএস জঙ্গি এসেছিল কলকাতায়! বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত দুই জঙ্গিকে আর্থিক সাহায্য় করেছিল সেই তৃতীয় জন। শুধু তাই নয়, রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটানোর রসদ অর্থাৎ বিস্ফোরক আবদুল মতিন ও মুসাভির হুসেনের হাতে তুলে দিয়েছিল সেই জেহাদিই।
সাতদিন রাঁচিতে থাকার পর গত ২১ মার্চ কলকাতায় ফেরে দুই জঙ্গি আবদুল মতিন ও মুসাভির হুসেন। সেদিনই বেঙ্গালুরু থেকে আইএস জঙ্গি সংগঠনের এক মাথা মোজাম্মেল শেরিফ কলকাতায় এসে ধর্মতলা অঞ্চলে তাদের সঙ্গে দেখা করে। পলাতক অবস্থায় তাদের প্রত্যেকদিনের খরচ চালানো ও পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নাশকতামূলক পরিকল্পনার জন্য নগদ এক লক্ষ টাকা দু’জনের হাতে তুলে দেয় ওই জঙ্গি নেতা। বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণের তদন্তে ধৃত দুই জঙ্গিকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুর কাফেতে বিস্ফোরণের জন্য এই মোজাম্মেলই আবদুল মতিনদের হাতে তুলে দিয়েছিল বিস্ফোরক।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলে হামলা ইরানের, আপৎকালীন বৈঠক ডাকল রাষ্ট্রসংঘ! ফোনে কথা নেতানিয়াহু-বাইডেনের]
ক্যাফে বিস্ফোরণের ঘটনায় মোজাম্মেল শরিফকে গত ২৭ মার্চ এনআইএ গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করেই আবদুল মতিন ও মুসাভির হোসেনের কলকাতায় আসার তথ্য জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এর পর বেঙ্গালুরু থেকে এনআইএর টিম এই মাসের প্রথম সপ্তাহে কলকাতায় এসে দুই জঙ্গির সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে।
বিস্ফোরণ ঘটানোর পর বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই ও তেলেঙ্গানা হয়ে গত ১০ মার্চ কলকাতায় এসে পৌঁছেছিল দুই আইএস জঙ্গি। তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বেঙ্গালুরুর দুই আইএস 'চাঁই' মাজ মুনির আহমেদ ও মোজাম্মেল শেরিফের সঙ্গে। ‘টর্ক’ নামে অ্যাপটির মাধ্যমে মেসেজ আদানপ্রদান ও কথা বলত তারা। মোজাম্মেলই তাদের বলেছিল, রাঁচির অন্য এক আইএস মাথার সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানে গিয়ে গা ঢাকা দিতে। মোজাম্মেলের সঙ্গে কলকাতার আর কারও যোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।