বেঙ্গালুরু এফসি- ১ (সি কে বিনীত)
ইস্টবেঙ্গল- ৩ (ওয়েডসন, রবিন সিং ২)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেতার জন্য ঝাঁপাবে ইস্টবেঙ্গল তা জানাই ছিল। আগের ম্যাচে আইজলের কাছে বিশ্রি হারের স্মৃতি ঝেড়ে ফেলে নয়া উদ্যমে শুরু করবে লাল-হলুদ ব্রিগেড, সেটাই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু গতবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরুকে তাদেরই ঘরের মাঠে উড়িয়ে দেবে ইস্টবেঙ্গল, এমনটা বোধহয় অতি বড় ফুটবল বোদ্ধাও কল্পনা করেননি। শনিবার বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে সুনীল ছেত্রীদের চোখে সর্ষে ফুল দেখিয়ে ছাড়লেন ওয়েডসন, রবিন সিংরা। ম্যাচের শেষ লগ্নে বিনীতের গোল কিছুটা লজ্জা বাঁচিয়েছে বেঙ্গালুরুর। ওয়েডসনের একটি এবং রবিন সিংয়ের জোড়া গোলের সুবাদে ৩-১ স্কোরে ব্লু-ব্রিগেডকে ধরাশায়ী করল ইস্টবেঙ্গল। সেই সঙ্গে লিগ জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল মর্গ্যানবাহিনী। এই ম্যাচ জিতে ২৪ পয়েন্ট পেয়ে লিগ শীর্ষে থাকা আইজলকে টপকে গেল তারা। ১১ ম্যাচ খেলে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে নেমে গেল আইজল। তিনে ২১ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে মোহনবাগান। হেরে গিয়ে লিগ জয়ের আশা কার্যত শেষ সুনীলদের। তাদের পয়েন্ট ১৩।
(পুণের মাঠে ‘বিরাট’ লজ্জা ভারতের)
এদিনটা ইস্টবেঙ্গলেরই ছিল। এত খারাপ প্রদর্শন ঘরের মাঠে শেষ কবে বেঙ্গালুরু করেছে মনে পড়ছে না। ইস্টবেঙ্গলের ফরোয়ার্ডদের একের পর এক আক্রমণে গুঁড়িয়ে গেল বেঙ্গালুরুর রক্ষণভাগ। একসময় ছন্নছাড়া লাগছিল সন্দেশ ঝিঙ্গনদের। না রক্ষণে না আক্রমণে, সব বিভাগেই এদিন বেঙ্গালুরু ফেল। প্রথমার্ধ থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপায় লাল-হলুদ শিবির। তার ফল আসে ম্যাচের ২৩ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে হাইতিয়ান ওয়েডসনের বাঁ পায়ের বাঁকানো শট জড়িয়ে যায় বেঙ্গালুরুর জালে। গোলে তখন দর্শকের ভূমিকায় গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। একের পর এক আক্রমণে কাঁপুনি ধরে যায় বেঙ্গালুরুর ডিফেন্সে। এদিন প্লাজা ছিলেন না ইস্টবেঙ্গলের টিমে। শুরু থেকে মর্গ্যান খেলান অজি ক্রিস্টোফার পেইনকে। আস্তে আস্তে ভারতের পরিবেশের সঙ্গে ধাতস্থ হচ্ছেন তিনি। তা এদিন তাঁর খেলা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেন এদিন। বিরতিতে ১-০ স্কোরে এগিয়ে মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল।
(ডেপুটি কালেক্টর হচ্ছেন অলিম্পিকে রুপোজয়ী সিন্ধু)
দ্বিতীয়ার্ধে আরও বিধ্বংসী মেজাজে খেলতে দেখা যায় রবিনদের। নিজের পুরনো টিমকে দেখেই জ্বলে উঠেছিলেন রবিন সিং। তারই ফলশ্রুতি ৫৪ মিনিটে রবার্টের ক্রস থেকে হেড করে তাঁর গোল। এরপর ওয়েডসনকে তুলে রফিককে নামান কোচ মর্গ্যান। ৫৯ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে পেইনের পাস থেকে জালে বল জড়িয়ে দেন সেই রবিন সিং। ৩-০ স্কোরে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ততক্ষণে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে বেঙ্গালুরুর ডিফেন্স। গোল না পেয়ে মাথাগরম করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বেঙ্গালুরু তথা ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ফলস্বরূপ হলুদ কার্ডও দেখেন। তবে না বললেই নয়, সুনীল এদিন অনেক চেষ্টা করেছেন গোলমুখ খোলার। কিন্তু সফল হননি। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে উদান্তর পাসে গোল করে বেঙ্গালুরুকে কিছুটা হলেও লজ্জার হাত থেকে বাঁচান সি কে বিনীত। খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা করে গিয়েছেন সুনীলরা। কিন্তু আর গোল আসেনি। শেষপর্যন্ত ৩-১ স্কোরেই ম্যাচ শেষ হয়। ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ভরাডুবি হল বেঙ্গালুরুর। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন রবিন সিং।
The post রবিনের জোড়া গোলে ঘরের মাঠে ধরাশায়ী বেঙ্গালুরু appeared first on Sangbad Pratidin.