সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বহু টালবাহানার পর হাইব্রিড মডেলে রাজি হয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু তাতে কি কোনও লাভ হয়েছে? কারণ, করাচির গদ্দাফি স্টেডিয়ামের যা অবস্থা তাতে রীতিমতো চিন্তায় ক্রিকেটভক্তরা।
এই স্টেডিয়ামেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচ হওয়ার কথা। যেখানে আয়োজক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে নিউজিল্যান্ড। তার জন্য আর ঠিক দেড়মাস বাকি। কিন্তু এখনও স্টেডিয়াম পুরোপুরি তৈরিই নয়। বরং এখানে-ওখানে ডাঁই করা আছে মাটি। ভেঙেচুরে পড়ে আছে স্টেডিয়ামের অধিকাংশ জায়গা। কী করে এত কম সময়ে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামকে ম্যাচের উপযুক্ত করে তোলা হবে, তা ভেবেই মাথায় হাত ক্রিকেটভক্তদের।
যদিও এই বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা বলছেন, "স্টেডিয়াম সংস্কার ও পুনর্গঠনের কাজ এখনও চলছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এখানে অন্য কোনও ম্যাচ আয়োজন করা হবে না। তাতে সংস্কারের কাজে আরও দেরি হবে। আবার ক্রিকেটাররাও বিরক্ত হবে।" যে কারণে পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনাল তুলনায় ছোট ইউবিএল কমপ্লেক্সে হবে। এমনকী ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচও এই স্টেডিয়ামের বদলে মুলতানে হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, রামিজ রাজা পিসিবি চেয়ারম্যান থাকাকালীন করাচি স্টেডিয়ামের নামও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের নামে রাখা হয়। তাতেও অবশ্য সমস্যা মেটেনি। পাকিস্তানের স্টেডিয়ামগুলো যে আন্তর্জাতিক মানের নয়, তা নিজেই জানিয়েছিলেন পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নকভি।