সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কী চাকরি হবে? বাড়ির বড়দের থেকে এমন ধরনের কথা কতই না শুনতে হয়। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো ভাল ঘুমোতেই পারলেই যদি পেশাগত জীবনে তড়তড়িয়ে উন্নতি হত? তবে কেমন হয়? ভাবছেন এ আবার কী কথা। কাজের দক্ষতা না থাকলে কী আর ঘুমিয়ে পেশাগত জীবনে উন্নতি করা যায়? এই প্রশ্ন মনে জাগলেও তাকে খুব পাত্তা দেবেন না। বরং খোলসা করে পুরো বিষয়টি জানার জন্য চটপট এই প্রতিবেদন পড়ে ফেলুন।
বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) সংস্থা 'ওয়েকফিট'। এই সংস্থা কর্মী নিয়োগ করবে। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, আপনার কোন দিকে কেমন দক্ষতা রয়েছে, সেসব ওই সংস্থার আধিকারিকদের জানার প্রয়োজন নেই। পরিবর্তে কর্মী নিয়োগের জন্য ওই সংস্থা শুধুমাত্র জানতে চায় আপনার ঘুমনোর ক্ষমতা কেমন? মানে সারাদিনে ঠিক কতক্ষণ নিশ্চিন্তে অঘোরে ঘুমোতে পারেন আপনি। প্রার্থীকে বাছাই করার পর তাঁর কাউন্সেলিংয়ের বন্দোবস্ত করবে ওই সংস্থা। কাউন্সেলিংয়ের পরই শুরু হবে কাজ। সংস্থার দাবি, ১০০ দিন ৯ ঘণ্টা করে ঘুমোতে হবে। সংস্থার শর্তপূরণ করতে পারলেই মিলবে ১ লক্ষ টাকা। তবে ১০০ দিনে নয়ের পরিবর্তে এক ঘণ্টাও কম ঘুমোলে টাকা কিন্তু মিলবে না।
[আরও পড়ুন: করোনার জেরে চলতি বছর কর্মীদের বেতন বাড়ায়নি দেশের অধিকাংশ সংস্থাই, বলছে সমীক্ষা]
কিন্তু কী কারণে সংস্থার এই উদ্যোগ? কারণ, সংস্থার দাবি ব্যস্ততার যুগে অনেকেই ঘুমের দিকে নজর দেন না। তার ফলে নানা ধরনের অসুস্থতাও বাড়ছে। ঘুমেরও যে যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সে বিষয়ে সকলকে ওয়াকিবহাল করতে এই উদ্যোগ। গত বছর থেকে সংস্থা এই আজব কাজের কথা ভেবেছেন। সেই অনুযায়ী কর্মী নিয়োগও করা হবে। গত বছরে ১ লক্ষ ৭০ হাজার জন এই কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তবে তার মধ্যে মাত্র ২৩ জনই একশোদিন ন'ঘণ্টা করে ঘুমিয়ে এক লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। আগামী বছরের ইন্টার্নশিপের জন্য এখনই প্রচুর আবেদনপত্র জমা পড়ে গিয়েছে। তবে আদতে কতজন 'কঠিন' চাকরিতে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন, সেটাই দেখার।