সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য বিয়ে হয়েছে? অথবা আসন্ন শীতেই সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন? তারপর নিশ্চয়ই মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার প্ল্যান করছেন! পুজোর ছুটিতে বা বড়দিনে কোথায় ঘুরতে যাবেন, তা তো এখনই ঠিক করে ফেলতে হবে। না হলে ট্রেন বা বিমানের টিকিট, হোটেল কিছুই ঠিকঠাক পাওয়া যাবে না। তাহলে আর দেরি কেন! চটপট পড়ে ফেলুন এই প্রতিবেদন। সেই একঘেয়ে গোয়া, সিমলা আর সিকিম না গিয়ে মধুচন্দ্রিমার জন্য বেছে নিন এই ‘হটকে’ জায়গাগুলিকে।
জওহর
মুম্বই থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গাটি থানের মহাবালেশ্বর নামে বেশি পরিচিত। যাঁরা ট্রেকিং পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে এই হিল স্টেশনটি অত্যন্ত প্রিয়। দাদার কোপরা জলপ্রপাত, শিরপামাল, ভূতাপগড় রেলিক্স হল জওহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। শান্ত স্নিগ্ধ প্রকৃতির কোলে মধুচন্দ্রিমার মজাটাই আলাদা।
তার্কারলি
গোয়া বা মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে হাতে হাতে ধরে হাঁটার সময় তো পড়েই রয়েছে। হানিমুনের সফরটা একটু স্পেশাল হোক না। প্রিয় মানুষটি যদি সমুদ্র পছন্দ করেন তাহলে পাড়ি দিন তার্কারলিতে। মুম্বই থেকে ৫৪৬ কিলোমিটার দূরের সৈকতের অপরূপ দৃশ্য আপনার মন ভরিয়ে দেবে। এখানে দম্পতিদের থাকার জন্য রয়েছে রোম্যান্টিক হাউসবোট। নানা ধরনের সি-ফুড খাওয়ার সুযোগও থাকছে। স্কুবা ডাইভ দিয়ে নীল সমুদ্র গহ্বরের সৌন্দর্যেরও সাক্ষী হতে পারেন। শুধু প্রকৃতিই নয়, এখানে ইতিহাসও হাতছানি দেয়। কারণ এর কাছেই রয়েছে সিন্ধু দূর্গ, বিজয় দূর্গের মতো দর্শনীয় স্থান।
চক্রাতা
তুষারশুভ্র উত্তরাখণ্ডের এই পর্যটন কেন্দ্রটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাত হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। তাই দারুণ ঠান্ডা সহ্য না করতে পারলে এ জায়গায় যাবেন না। চক্রাতার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হল টাইগার হিল। সংস্কৃতি ও ধর্মের মেলবন্ধনে তৈরি এই পাহাড়ি এলাকাতে রয়েছে নানা দেব-দেবীর মন্দির। এছাড়া রাদিনা, থাইনা জায়গাগুলিতে গেলে মহাভারতের পাতা ফের জীবন্ত হয়ে উঠবে আপনার চোখের সামনে।
হর্সি হিল
উত্তরে না গিয়ে দক্ষিণ ভারতও ঘুরে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে গন্তব্য হিসেবে বেছে নিতে পারেন হর্সি হিল জায়গাটিকে। অন্ধ্রপ্রদেশের এই পাহাড়ি এলাকা কুড্ডাপা জেলার কালেক্টর ডব্লিউডি হর্সলির নামে রাখা হয়েছিল। তিরুপতি থেকে ১৪৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্থানের সৌন্দর্য না দেখলে মিস করবেন। সবুজ গাছগাছালি, মন্দির আর গভীর অভয়ারণ্যে আপনার মধুচন্দ্রিমা হয়ে উঠবে রোমাঞ্চকর।
কোভালাম
শিল্পীর সযত্ন তুলির নানা রঙের টান দিয়ে যেন তৈরি হয়েছে কেরলের এই সমুদ্র সৈকত। অনেকেই এই জায়গাকে হানিমুনের জন্য বেছে নেন। পাম ও নারকেল গাছে সুসজ্জিত শান্ত এই সোনালি রঙের বিস্তীর্ণ এই সৈকত দম্পতিদের রোমান্সের জন্য আদর্শ। থাকার জন্য সৈকতের কাছেই রিসর্ট পেয়ে যাবেন।
The post শীতকালে মধুচন্দ্রিমার পাঁচ সেরা গন্তব্য appeared first on Sangbad Pratidin.