পুজোময় হয়ে উঠুক ঘরের সাজ। প্রাণের উৎসবে বাড়িতেও পুজো পুজো গন্ধ। লিখছেন মানসী দাস মণ্ডল৷
শৈশবটা আমাদের প্রত্যেকের কাছেই ভীষণ প্রিয়, স্বপ্নময়। হলফ করে বলতে পারি, আমাদের প্রত্যেকের শৈশবের সঙ্গে নিগূঢ় যোগ আছে এই কার্পেটের। বলুন তো কোথায়? কেন আলাদিনের ম্যাজিক কার্পেট। আর এই কার্পেট দিয়েই আপনার অন্দরসজ্জায় আনতে পারেন নতুন চমক। কার্পেট এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আপনার রুচিবোধ, সাথে আপনার আভিজাত্যের পরিচায়ক এই কার্পেট। কাশ্মীরি ও পার্শিয়া কার্পেট হলেও এখন ও সাধ্যমতো অনেক ধরনের কার্পেট পেয়ে যাবেন। নাইলন, পলিয়েস্টার, ওলেফিন, উল, লুপ, কাট ফাইল।
[মাত্র ৫০০ টাকা খরচ করেই পুজোর আগে সাজিয়ে ফেলুন গোটা বাড়ি]
কার্পেট পছন্দ করার আগে আপনার মেঝের টেক্সচার বুঝে নিন। উডেন ফ্লোর, মার্বেল, টাইলস, মোজাইক বা প্লেন মেঝেতেও কার্পেট অনবদ্য। টেকসই পছন্দ হলে বেছে নিতে পারেন নাইলন। লাক্সারি লুক ও অভিনব রংয়ের মেলবন্ধন চাইলে পলিয়েস্টার এর কার্পেট বাছতে পারেন। আর আপনার বসার ঘর যদি স্পেস হয় সে ক্ষেত্রে মেঝে জোড়া কাশ্মীরি বা পারশি কার্পেট ভালো লাগবে। তবে খাওয়ার জায়গায় ওয়াশেবল কার্পেট রাখাই ভালো। কার্পেট ছাড়াও বাহারি রাগও রাখতে পারেন। কমবেশি বিভিন্ন দামের কার্পেট পেয়ে যাবেন এখন। অনলাইনে কিনতে পারেন। সফট কটন রাগ মোটামুটি আটশো টাকা থেকে শুরু করে দুহাজার টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন। খুব সুন্দর বোহিমিয়ান বাথ রাগ আটশোর পেয়ে যাবেন প্রচুর ডিজাইন। পলিয়েস্টার কার্পেটের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। শুরু মোটামুটি দেড় হাজার টাকা থেকে। আর যদি আপনি চূড়ান্ত শৌখিনতার সাথে হাত মেলান, তাহলে আনতে পারেন চির পরিচিত কাশ্মীরি কার্পেট। মোটামুটি আড়াই হাজার টাকা থেকে শুরু করে দশ হাজারের মধ্যে পাবেন প্রচুর কালেকশন। যতই হোক শখের দাম লাখ টাকা মানতেই হবে।
[উৎসবের মরশুমে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলুন ঘরের সিলিং]
আপনার অন্দরমহলে নতুন গল্প আনতে শুধু আপহোলসট্রি না, বদল আনতে পারেন ডেকর পিসেও। সেক্ষেত্রেও পাবেন প্রচুর অপশন। খুব সাধারণ জিনিস দিয়েও তৈরি করতে পারেন সুন্দর ক্রিয়েটিভ কর্নার। পোড়ামাটির গ্লাস বা বাটি – যার দাম একদমই বেশি নয়, তা দিয়েও সাজাতে পারেন। আবার ডোকরা শিল্পের আভিজাত্য অনস্বীকার্য। যার দাম শুরু মাত্র তিনশো টাকা থেকে। এছাড়া দেওয়ালে আটকাতে পারেন ডেকোরেটিভ আয়না। যদি মূর্তি প্রীতি থাকে তাহলে বুদ্ধ বা গণেশের বিভিন্ন মূর্তি ও রাখা যেতে পারে। অন্যরকম চাইলে মুখোশও ভালো লাগবে। আর যদি আনতে চান পুজো এফেক্ট, তাহলে পুজোর দিনে মাটির পাত্রে রাখুন তাজা শিউলি ফুল।
[সুস্থ থাকতে সাহায্য করে বেডরুমের রং! আর যৌনতায়?]
মোদ্দা কথা হল সাজিয়ে তোলা। আপনার সাথে সাথে আপনার অন্দর। তার জন্য খুব বেশি খরচের প্রয়োজন নেই। শুধু নতুন চিন্তাধারা, ইচ্ছাই শেষ কথা। আজকের আলোচনার নির্যাসটুকু মিশিয়ে নিন আপনার সৃজনশীলতার সঙ্গে। তাহলেই বাজিমাত। আপনার নতুন অন্দরসজ্জায় সৃষ্টি হোক নতুন কিছু কথা, নতুন কিছু গল্প।।
The post পুজোময় হয়ে উঠুক ঘরের সাজ, আনুন নতুন চমক appeared first on Sangbad Pratidin.