সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাস্তুতন্ত্র মেনে ঘর সাজানোর চল রয়েছে। ঘরের ঠিক কোন জায়গায় কোন জিনিসটি রাখা হবে, তা নিয়ে বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতামত অনেকেই নেন। কিন্তু শুধু ঘর সাজালেই তো হবে না, ঠিকভাবে সাজাতে হবে যাতে গেরস্থালিতে শান্তি বজায় থাকে ও শ্রীবৃদ্ধি হয়। তার জন্য নিয়ম করে ঘর সাজানোর থেকেও বেশি জোর দেওয়া দরকার কোন জিনিস রাখা হবে, কোন জিনিস রাখা হবে না তার উপর। নতুন বছরের কয়েকটি জিনিস বাড়ি থেকে বিদেয় করুন। পরামর্শ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের। কী বলছেন তাঁরা?
ঘরে অনেকেই গাছ লাগানো ভালো। কিন্তু খেয়াল রাখুন, গাছ শুকিয়ে গেলে কিন্তু কখনওই তাকে মায়ার বশে রেখে দেবেন না। মরা গাছ রাখা বিপজ্জনক। অনেকে বলেন, মরা গাছ সংসারে দুর্ভাগ্য বয়ে আনে।
আজকাল অনেকের বাড়িতেই শৌচাগারে কমোড থাকে। বাথরুমের সৌন্দর্য রক্ষা করার জন্য বা দুর্গন্ধ এড়াতে অনেকেই ঢাকনা বন্ধ করে রাখেন। এটাই দরকার। কখনও কমোডের ঢাকনা খুলে রাখবেন না। স্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই, বাস্তুকারদের মতে ঢাকনা খোলা রাখলে পজিটিভ এনার্জি বেরিয়ে যায়। তাই কমোডের ঢাকনা কখনও খুলে রাখা উচিত নয়।
বাড়িতে ঢোকার দরজা বা তার সামনের দিকটা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। এতে দেখতেও যেমন ভালো লাগবে, আপনার সংসারে তেমন পজিটিভ এনার্জিও থাকবে।
সবসময় ঘরদোর গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। জিনিসপত্র যত্রতত্র ছড়িয়ে রাখা যেমন দৃষ্টিকটূ, তেমনই এতে নেগেটিভ এনার্জি বাসা বাঁধে। তাই ঘর কখনও এলোমেলো রাখবেন না। সময়ের কারণে সম্পূর্ণ গুছিয়ে রাখা সম্ভব না হলে যতটা পারবেন পরিষ্কার রাখুন ঘর।
কোনও জিনিস খারাপ হয়ে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই তা নেহাত সময়ের অভাবে ওই অবস্থাতেই পড়ে থাকে। অনেক সময় স্মৃতির কারণেও ঘরে থেকে যায় পুরনো জিনিস। কিন্তু এটা করা একেবারেই উচিত নয়। খারাপ টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন বা বিকল ঘড়ি কখনই ঘরে রাখবেন না। এতে নেগেটিভ এনার্জি বাড়ে।