সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন ক্লে-কোর্টের সম্রাট। আর অন্যজন নাছোড়বান্দা। রোলা গাঁরোয় একজন ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন। আর অন্যজনের কাজ স্বপ্নের উড়ান ভরে সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে চলা। এমন দুই মহারথী মুখোমুখি হলে যে ইতিহাস রচিত হয়, তা বলাই বাহুল্য। শুক্ররাতেও তেমনই এক রুদ্ধশ্বাস, হাইভোল্টেজ ম্যাচের সাক্ষী রইল টেনিস বিশ্ব। রাফায়েল নাদাল বনাম নোভাক জকোভিচের (Novak Djokovic) অক্লান্ত লড়াই অনুপ্রেরণা দিল আগামী প্রজন্মকে। আর ঠান্ডা মাথায় সম্রাটকেও যে গদিচ্যুত করা সম্ভব, তা বুঝিয়ে দিলেন জকোভিচ।
ফরাসি ওপেনের (French Open) সেমিফাইনালে সার্বিয়ান তারকার বিরুদ্ধে প্রত্যাশিতভাবেই শুরুটা করেছিলেন ১৩টি ফরাসি ওপেন খেতাবজয়ী নাদাল (Rafael Nadal)। প্রথম সেটে ৫-০ এগিয়ে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে নিজের জাত চেনাতে শুরু করেন বিশ্বের এক নম্বর জকোভিচ। এত বছর পরও রাফার ফাইনালে পৌঁছনোর জেদ আরও বিস্মিত করে টেনিসপ্রেমীদের। আবার জোকারের চোখ ধাঁধানো কিছু মুভ দেখে অবাক হতে হয় বইকী। তাই তো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে নির্দ্বিধায় জকোভিচ বলে দেন, তাঁর খেলা সেরা তিনটি ম্যাচের অন্যতম হয়ে রইল এটি। যা তিনি কখনও ভুলবেন না। খেলার স্কোর জোকারের পক্ষে ৩-৬, ৬-৩, ৭-৬ (৪), ৬-২।
[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে শুরু Euro Cup 2020, প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত জয় ইটালির]
“১৫ বছর ধরে এই কোর্টে রাজত্ব করছেন তিনি (নাদাল)। সাফল্য ঝুলি ভরতি। আমার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষদের মধ্যে একজন উনি। তাঁর বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলাম। দর্শকদের সরব উপস্থিতি আর দুর্দান্ত টেনিসের লড়াইয়ের এই রাত আমি সারাজীবন মনে রাখব। রোলা গাঁরোয় এটাই আমার সেরা ম্যাচ।” বলে দেন জকোভিচ। এরপরই জুড়ে দেন, “শুরুটা গতবারের ফাইনালের মতো মনে হচ্ছিল। প্রথমে ৫-০-তে পিছিয়ে গেলেও অবশ্য খুব একটা নার্ভাস লাগেনি। কারণ মাথায় ছিল যে সামনে আসতে থাকা বলগুলো মেরে যেতে হবে। ধীরে ধীরে ছন্দ খুঁজে পাই।”
হাঁটু নিয়ে চিন্তায় থাকায় ফরাসি ওপেনের মাঝপথ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন রজার ফেডেরার। তারপর থেকে টেনিসবিশ্বের চোখ ছিল নাদালের দিকে। সেই নাদালকেই ২০১৫ সালের পর হারিয়ে তৃপ্তির জয় পেলেন জোকার। রবিবার ফাইনালে যিনি নামবেন গ্রিসের স্টেফানোসের বিরুদ্ধে।