শুভঙ্কর বসু: ফের পিছোল ভবানীপুর উপনির্বাচন (Bhabanipur By-Election) মামলার শুনানি। এই মামলার দ্রুত শুনানির আরজি জানিয়েছিলেন মামলাকারীর আইনজীবী। তবে কলকাতা হাই কোর্টে দ্বিতীয়বারও সেই আরজি গৃহীত হল না। পরিবর্তে আরও পিছিয়ে গেল শুনানি। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর।
কোভিড (Covid 19) পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে উপনির্বাচন করানো হোক, এমন দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল (TMC)। তারপর কমিশনকে চিঠি দেন মুখ্যসচিবও। এরপরই মুর্শিবাদের দুই কেন্দ্র জঙ্গিপুর, সামসেরগঞ্জে নির্বাচন এবং ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে কমিশন।শুধুমাত্র ভবানীপুরে কেন উপনির্বাচন হচ্ছে, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। সেই উপনির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আইনজীবী বিজেপি ঘনিষ্ঠ।
[আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকবাজের হানা, গুলিবৃষ্টিতে নিহত অন্তত ৮]
রাজ্যে একাধিক আসনে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র ভবানীপুর নিয়ে কেন চিঠি দিলেন মুখ্যসচিব? কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা কি মুখ্যসচিব ঠিক করতে পারেন? এই প্রশ্ন তোলেন মামলাকারী। ওই মামলার দ্রুত শুনানির আরজি জানান মামলাকারী। গত সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল মামলার শুনানি হয়। তবে সেদিন মামলাকারীর দ্রুত শুনানির আরজি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানান, সাধারণ নির্বাচন এবং উপনির্বাচন এক নয়। এছাড়াও প্রশ্ন করেন, বিজ্ঞপ্তির এত পরে কেন মামলা? কেন আগে আসেননি?
আজ ফের মামলার শুনানি হয়। এদিনও কলকাতা হাই কোর্টে ফের পিছল মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর। উল্লেখ্য, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএমের হয়ে লড়ছেন শ্রীজীব বিশ্বাস। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।