সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোরান (Quran) ধর্মগ্রন্থ। কিন্তু গীতা নয়। এখানে ভগবানের আরাধনা কিংবা কোনও ধর্মীয় অনুশীলনের কথা বলা হয়নি। এমনই মন্তব্য কর্ণাটকের (Karnataka) শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশের। রাজ্যের সিলেবাসে শ্রীমদ্ভগবদ গীতাকে (Bhagavad Gita) অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে চর্চা। এবার বিজেপি সরকারের এহেন পদক্ষেপকে সমর্থন করতেই মুখ খুললেন নাগেশ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ”কোরান ধর্মগ্রন্থ, কিন্তু গীতা তা নয়। এখানে ইশ্বরের আরাধনার কথা বলা হয়নি। কিংবা কোনও ধর্মীয় অনুশীলনের কথাও বলা হয়নি। এটা আদর্শের কথা বলে এবং পড়ুয়াদের অনুপ্রাণিত করে। এমনকী স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ও মানুষ গীতা থেকে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা পেতেন।”
[আরও পড়ুন: ভারতের মানচিত্র থেকে বাদ অরুণাচল, লাদাখ! এসসিও-তে ‘চিনা-কীর্তি’ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে]
গত সোমবার তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বিজেপি সরকার স্কুলের পাঠ্যসূচিতে গীতাকে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। নাগেশকে বলতে শোনা যায়, ”একটি কমিটি এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এবং আমাদের পরিকল্পনা হল, এবছরের ডিসেম্বরেই এটা কার্যকর করা।” তবে সিলেবাসে গীতা থাকলেও এটা কেবল পড়ানোই হবে, এই বিষয়ে কোনও পরীক্ষা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর আগে গত মার্চেও এমনই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বম্মাই।
এদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্ধারামাইয়া জানিয়েছেন, তাঁদের দলের এহেন পদক্ষেপে আপত্তি নেই। কিন্তু সবচেয়ে আগে দরকার পড়ুয়াদের জন্য যথাযথ শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা। তাঁর কথায়, ”পড়ুয়াদের ভগবত গীতা, কোরান, বাইবেলের শিক্ষা দেওয়াই যেতে পারে স্কুলে। কিন্তু সরকারের উচিত পড়ুয়াদের সঠিক মানের শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া। সেটাই প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত। তবে পবিত্র গ্রন্থকে নৈতিক শিক্ষা দিতে স্কুলে পড়ানোর বিষয়টিতে আমাদের দলের কোনও আপত্তি নেই।”