অর্ণব আইচ: ফের মনুয়া কাণ্ডের ছায়া। এবার ঘটনাস্থল কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এলাকা। প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন করল স্ত্রী। পুলিশের জেরায় নিজের অপরাধ স্বীকারও করেছে সে। গোটা ঘটনায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।
কয়েক বছর আগে হৃদয়পুরের মনুয়া প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষে স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল। লেদার কমপ্লেক্সের অন্তর্গত ভাঙড়ের ঘটনা এবার সেই কাণ্ডকেই মনে করিয়ে দিল। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৩ অক্টোবর অর্থাৎ মহাষ্টমীর রাতে ঘটে ঘটনাটি। মুসলিমা বিবি নামের মহিলা বছর তিপ্পান্নর স্বামী আনসার আলি গাজিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রায় অবচেতন অবস্থাতেই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। সঙ্গী ছিল প্রেমিক। পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়ে নিজের অপরাধ মেনে নেন স্ত্রী। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক প্রেমিক।
[আরও পড়ুন: সম্পর্কের স্বীকৃতি, বিজয়া দশমীতে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়]
অভিযুক্ত স্ত্রী পুলিশকে জানান, প্রায়ই স্বামীর সঙ্গে বচসা হত তার। সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। আর স্বামীর সঙ্গে দূরত্বের ফাঁক গলেই ঢুকে পড়ে প্রেমিক। ওই এলাকারই বাসিন্দা সে। বয়স ৩২ বছর। ১১ বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে সংসার পাতার স্বপ্ন দেখেছিল মুসলিমা বিবি। তাই পথের কাঁটা ‘স্বামী’কে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার ছক কষে তারা। গত ১৩ তারিখ রাতে স্বামী, ছেলে ও পুত্রবধূর খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় মুসলিমা বিবি। সকলে ঘুমিয়ে পড়লে রাত ১১টা নাগাদ প্রেমিক বাড়ি আসে। দু’জন মিলে এরপর বালিশ চাপা দিয়ে আনসার আলি গাজিকে খুন করে। ঘটনার বেশ খানিকক্ষণ পর ওষুধের ঘোর কাটে ছেলে ও পুত্রবধূর। বাবাকে পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান ছেলে। সেখানেই চিকিৎসকরা আনসারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশকে খবর দেওয়া হলে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্ট দেখা যায়, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে আনসার আলিকে। এরপরই তদন্তে নেমে মৃতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। লাগাতার জেরায় ভেঙে পড়ে মুসলিমা বিবি। নিজের অপরাধ স্বীকার করতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে প্রেমিক এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।