বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: সদ্য বিজেপির হাত থেকে হিমাচল ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। তাই মুখ্যমন্ত্রী-সহ সকলের আশা ছিল দেবভূমিতে রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে খুব কম করে হলেও দশ দিন থাকবেন। কিন্তু সব আশায় জল ঢাললেন সোনিয়া-পুত্র। মাত্র একদিন হিমাচলে পদযাত্রা করেই হরিয়ানায় ঢুকলেন তিনি।
রাহুলের (Rahul Gandhi) যুক্তি, ৩০ তারিখ মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু দিবসে ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) শেষ করতে হবে। তাই মাত্র একদিন সময় দেওয়া গেল। অন্যদিকে, আগেই বিজেপি বিরোধী দলের নেতৃত্বকে শেষদিনে কাশ্মীরে হাজির থাকার আমন্ত্রণ জানান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। খোলা চিঠি দেন রাহুলও। এবার সাধারণ মানুষকে ওইদিন কাশ্মীরে হাজির থাকার আবেদন জানিয়ে খোলা চিঠি দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: তদন্তের স্বার্থে ‘সূত্র’ জানাতে বাধ্য সাংবাদিকও, রায় সিবিআই আদলতের]
বুধবার ছিল ভারত জোড়ো যাত্রার ১২৪তম দিন। এদিন হিমাচলে পদযাত্রা করেন রাহুল গান্ধী। এদিকে রাহুলকে ঘিরে হিমাচলের নেতাদের ক্ষোভ, মাত্র ১ দিনের জন্য কেন এলেন কংগ্রেস নেতা। সদ্য সেখানে জয়ী হওয়ার পরে প্রদেশ নেতাদের মনে সব মিলিয়ে অভিমান তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, কাঙরায় পদযাত্রা শেষে সভায় রাহুল বলেন, হিমাচল পাহাড়ি রাজ্য হলেও হলেও হাঁটতে সমস্যা হয় না। কারণ এটা দেবভূমি। মানুষের মধ্যে শান্তি বিরাজ করে। তিনি জানান, মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরির রাজনীতি চলছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই ভারত জোড়ো যাত্রা।
রাহুল বলেন, ‘‘এখন সংবাদমাধ্যম শুধু প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে পায়, বিরোধীদের দেখতে পায় না। বিরোধীদের জব্দ করতে কেন্দ্র তদন্তকারী সংস্থাকে পিছনে লাগিয়ে দিচ্ছে। যেহেতু কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতি মানুষ জানতে পারছে না। তাই ভারত জুড়ে পদযাত্রা করা হচ্ছে।’’
[আরও পড়ুন: পদ ছাড়বেন আগামী মাসেই, অশ্রুসজল চোখে ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর জেসিন্ডার]
গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা। ৩০ জানুয়ারি তা শেষ হওয়ার কথা। এই যাত্রাকে নিয়ে কংগ্রেস উচ্চাকাঙ্ক্ষী। জনসংযোগ বাড়িয়ে হৃত জনসমর্থন পুনরুদ্ধারে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছে শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দল। সুদীর্ঘ পথ ধরে মিছিলে হাঁটছেন রাহুল গান্ধী ও অগণিত কংগ্রেস সমর্থক। নানা জায়গায় সেই যাত্রায় যোগ দিয়েছেন একাধিক সেলিব্রিটি। ফলে জৌলুস আরও বেড়েছে ভারত জোড়ো যাত্রার।