সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্র সরকারকে উপেক্ষা করে ভীমা-কোরেগাঁও (Bhima-Koregaon) হিংসার তদন্তভার পেল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। মহারাষ্ট্র সরকার এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে। হিংসায় জড়িত সন্দেহে আটক তথাকথিত ‘শহুরে নকশাল‘দের মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার। এরই মধ্যে মহারাষ্ট্র পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে এই ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল এনআইএ-কে (National Investigation Agency)। যাঁর জেরে প্রবল ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের মতো নেতারা।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে মহা-বিকাশ-আগাড়ির সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভীমা কোরেগাঁও মামলা তুলে নেওয়া নিয়ে জল্পনা চলছে। দুই জোটসঙ্গী কংগ্রেস এবং এনসিপি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন, যাতে এই মামলা তুলে নেওয়া হয়। শরিকদের দাবি মেনে বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের উপর দায়ের হওয়া মামলা তুলে নেওয়ার উদ্যোগও নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। গত বৃহস্পতিবারই ভীমা কোরেগাঁও মামলা নিয়ে পুণের পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তাতে পুলিশ কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়, ১৫ দিনের মধ্যে মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে হবে। না হলে সিট গঠন করে নিজেরাই মামলার তদন্ত করবে সরকার। এরই মধ্যে এনআইয়ের হাতে এই ঘটনার তদন্তভার তুলে দিয়েছে কেন্দ্র। যা সরাসরি রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের শামিল। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের নিজস্ব বিষয়। এতে এভাবে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের ঘটনা বিরল।
[আরও পড়ুন: স্কুলে প্রার্থনার পর পড়তে হবে সংবিধানের প্রস্তাবনা! নয়া নিয়ম কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে]
কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে চরম ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) একটি টুইটে মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলছেন, “মোদি-শাহর বিরোধিতা করলেই যে কেউ শহুরে নকশাল! তীমা-কোরেগাঁও প্রতিরোধের প্রতীক। যা সরকারের অনুগত এনআইএ কোনওভাবেই নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না।” অন্যদিকে, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার বলছেন, “এই মামলার তদন্ত করার অধিকার শুধু রাজ্য সরকারেরই রয়েছে। কেন্দ্র ভয় পাচ্ছে, যে সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। “
The post মহারাষ্ট্র সরকারকে এড়িয়ে ভীমা-কোরেগাঁও মামলার তদন্তে NIA! ক্ষুব্ধ বিরোধীরা appeared first on Sangbad Pratidin.