বিক্রম রায়, কোচবিহার: নারদ কাণ্ডে মন্ত্রী-বিধায়কদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সরব খোদ বিজেপি নেতা। এবার দলত্যাগ করলেন কোচবিহারের বিজেপি নেতা ভূষণ সিং (Bhushan Singh)। শুক্রবারই পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসও ঠিক একই কারণ দেখিয়ে বিজেপি ছাড়েন।
গত সোমবার থেকে রাজ্য রাজনীতিতে চলছে টানটান নাটকীয় টানাপোড়েন। ওইদিন সকালেই গ্রেপ্তার হন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। চেতলার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই (CBI)। তারপরই একে একে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra), মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) এবং প্রাক্তন তৃণমূল ও বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (Sovan Chatterjee) গ্রেপ্তার করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেল হেফাজতেই ছিলেন তাঁরা। শুক্রবার শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন চার হেভিওয়েট। বিধানসভা নির্বাচনে হারকে কার্যত মানতে না পেরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সাহায্যে ওই চার বিধায়ক-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে বলেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। স্টিং অপারেশনে তাদের দেখা গিয়েছিল বলে এহেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।
[আরও পড়ুন: বালি ব্রিজ থেকে শিশুকে ছুঁড়ে ফেলে গঙ্গায় মরণঝাঁপ যুবকের! তল্লাশিতে ডুবুরি]
গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ করে দল ছাড়লেন বিজেপি নেতা ভূষণ সিং। উল্লেখ্য, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল (TMC) ছাড়ার হিড়িক লেগেছিল। একাধিক নেতা ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই তালিকাতেই ছিলেন ভূষণ সিং। গত ৩ এপ্রিল তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। তবে শুক্রবার কোচবিহার পুরসভার প্রাক্তন পৌরপিতা ভূষণ দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। তিনি জানান, ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে রাজ্যের উন্নতি হবে। শুভেন্দু অধিকারীর সেই আ্শ্বাসেই দলবদল করেছিলেন। তবে বর্তমানে বিজেপি ঘৃণ্য রাজনীতি করছে বলেই অভিযোগ তাঁর। সে কারণেই গেরুয়া শিবির ছাড়লেন তিনি। ফের তিনি তৃণমূলে ফিরবেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।