সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের পরিবহণ ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছে পদ্মা সেতু। এই সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের শুধু যোগাযোগের সুবিধাই নয়, গোটা দেশের অর্থনীতি-সহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পদ্মা সেতুই আজ, বুধবার ঘুরে দেখলেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। বসন্তের রোদ মেখে পায়ে হেঁটে পদ্মার রূপ উপভোগ করেন তিনি।
এদিন ভুটানের রাজা রাজধানী ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বিক্রমপুরের মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠেন। মাঝ সেতুতে নেমে কিছু সময় কাটান। পদ্মার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করেন। তার পর তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পৌঁছন। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু পেরিয়ে আবার মাওয়ায় ফেরেন ওয়াংচুক। ৪০ বছর আগে বাংলাদেশ সফরে এসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি ‘সিলভার ওক’গাছের চারা লাগিয়েছিলেন ভুটানের তৎকালীন রাজা জিগমে সিংগে ওয়াচুক। এবার তাঁর ছেলে ভুটানের বর্তমান রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক বাংলাদেশে এসে সেই গাছ ছুঁয়ে দেখলেন। শ্রদ্ধা জানালেন। বাবার হাতে লাগোনো গাছটির পাশে তিনি নিজেও জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি ‘নাগেশ্বর চাপা’ গাছের চারা রোপণ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রানি জেৎসুন পেমা।
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে সোনার বাংলা গড়ার প্রতিজ্ঞা হাসিনার, শহিদদের শ্রদ্ধা ভুটানের রাজারও]
বলে রাখা ভালো, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। হাসিনা নিজে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে টোল প্রদান করে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে গিয়েছিলেন। পরদিন থেকেই সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এই সেতুকে সরকারের তরফ থেকে দেখানো হয় বাংলাদেশের সক্ষমতার স্মারক হিসেবে। আন্তর্জাতিক মহলেও এই সেতু ঘিরে রয়েছে আলোচনা আর কৌতুহল। পদ্মা সেতুতে রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের কয়েকটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন এক মন্ত্রী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৫ মার্চ চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন ভুটানের রাজা। ২৬ মার্চ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওয়াংচুক।