সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দেশ। এদিকে টিকার (COVID vaccine) ডোজের ঘাটতিও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বুলন্দশহরে কোভ্যাক্সিন (Covaxin) উৎপাদনে অনুমোদন দিল কেন্দ্র। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই সেখানে উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। লক্ষ্য থাকবে মাসিক এক কোটি টিকা উৎপাদন করা।
কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিবকল এই উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে সেই সংখ্যাকে আরও বাড়িয়ে মাসিক দু’ কোটি করাই লক্ষ্য তাদের। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলার সময় সংস্থার সহ-সভাপতি রাজীবকুমার শুক্লা বলেন, ‘‘এই কারখানায় এই মুহূর্তে দেশের পোলিও টিকার ৬০ শতাংশ উৎপাদিত হয়। এই প্ল্যান্টের করোনা টিকা সংরক্ষণ ও কোল্ড চেন পরিকাঠামো রয়েছে। ভারত বায়োটেক ও বিবকলের বিজ্ঞানীরা মিলে শিগগিরি বায়োসেফটি ল্যাবরেটরি তৈরি করবেন। সেখানেই সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকে কোভ্যাক্সিন উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে।’’
[আরও পড়ুন: ধর্মের ঊর্ধ্বে মানবতা, মৃত্যুশয্যায় মুসলমান করোনা রোগীকে কলমা পড়ে শোনালেন হিন্দু চিকিৎসক]
জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকও। এবিষয়ে একটি চুক্তিও সই হয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বিবকলকে ৩০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য প্রতি বছর অতিরিক্ত ২০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও রাখবে তারা।
দেশে টিকার যে ঘাটতি রয়েছে তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, কেবল বিবকল নয়। আরও দুই সংস্থাও কোভ্যাক্সিন উৎপাদন করবে। সেগুলি হল মহারাষ্ট্রের হাফকিন বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কর্পোরেশন লিমিটেড এবং হায়দরাবাদের ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস লিমিটেড। এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯ কোটি টিকার ডোজ তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে কেবল কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের টিকাকে অনুমোদন দেওয়া হলেও সম্প্রতি রাশিয়ার স্পুটনিক-ভিকেও অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র।