কলহার মুখোপাধ্যায়: একটু বৃষ্টি অথবা ঝোড়ো হাওয়ার ঝাপটা। একটু এদিক-ওদিক হলেই শিকড় উপড়ে উলটে পড়ছে গাছ। কলকাতা, বিধাননগর-সহ সর্বত্রই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কোথাও দুর্ঘটনা। এমনকী মাথায় গাছ পড়ে মৃত্যুর ঘটনাও যে ঘটেনি, তা নয়।আর গাছ পড়ার মতো বিপত্তি বারবার ঘটতে থাকায় কালঘাম ছুটেছে পুরসভাগুলির।
[ আরও পড়ুন: ভাঙার কাজ শুরুর আগেই ভাঙল আরেক বাড়ি, বউবাজারে নতুন করে আতঙ্ক ]
পুজোর সময় গাছ নিয়ে এই বিপত্তি আটকাতে বিপজ্জনক গাছের একটি তালিকা তৈরি করেছে বিধাননগর পুরনিগম। ভগ্নপ্রায় গাছগুলির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আর সেগুলির ছবি তুলে বনদপ্তরের কাছে পাঠিয়ে কেটে ফেলার অনুমতি চেয়েছে বিধাননগর পুরনিগম। ইতিমধ্যেই সেই অনুমতি গ্রাহ্য হয়েছে বলে পুরনিগম সূত্রে খবর।পাশাপাশি বিধাননগরের ৪১ জন কাউন্সিলরকে চিঠি দিয়ে ওয়ার্ডের বিপজ্জনক গাছের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে পুরনিগমের পরিবেশ বিভাগ।
দুর্গাপুজোর আগে সে তালিকা পেশ করার জন্য কাউন্সিলরদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।পুরনিগম সূত্রে খবর, মাসকয়েক আগে জোড়া কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বিধাননগরে ২০০ টি গাছ ভূমিশয্যা নিয়েছে। তার মধ্যে ৭৫টিই শুধুমাত্র সল্টলেকে। এছাড়া সামান্য ঝড়েও সল্টলেকের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় গাছ পড়ে যাওয়ার ভূরি ভূরি ঘটনা সামনে এসেছে।
[ আরও পড়ুন: বিস্ফোরণে ধসে যাওয়া রাস্তা মেরামতি, ডালহৌসিতে নিয়ন্ত্রিত যান চলাচল]
পুরনিগমের পরিবেশ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাউন্সিলরদের তালিকা আসার আগে বিভাগীয় তদন্তে সল্টলেকের ৪০টি গাছকে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করার কাজ শেষ। ২৫টি গাছ ইতিমধ্যেই কেটে ফেলা হয়েছে। এবার কাউন্সিলররা তালিকা দিলে বাকি গাছগুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে পরিবেশ বিভাগ। বিপজ্জনক সব গাছ যে কেটে ফেলা হবে তা নয়। যেগুলি মেরামত করা সম্ভব সেগুলি বনদপ্তরের
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সারিয়ে তোলা যায় কি না, তাও দেখা হবে। নয়া মেয়র পারিষদ গঠনের আগে পরিবেশ বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন রহিমা বিবি মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন, “পুজোর আগে সল্টলেক-সহ বিধাননগরের অন্যান্য জায়গায় গাছ ছাঁটাইয়ের কাজ চলছে।” তিনি জানিয়েছেন, বিপজ্জনক গাছের তালিকা তৈরি করতে পুজোর আগে নিয়মিত সল্টলেকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিদর্শনে যাবেন।
The post ঝড়ে গাছ উপড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে পুজোর আগেই কাটা হবে বিপজ্জনক মহীরুহ appeared first on Sangbad Pratidin.