দিশা ইসলাম, বিধাননগর: সাহসিকতার পুরস্কার। দিনকয়েক আগে নিউটাউনে এক নাবালিকার অপহরণের ছক ভেস্তে দেন কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার। নিউটাউন থানা ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত সিভিকের সাহসিকতাকে সম্মান জানিয়ে পুরস্কৃত করা হল তাঁকে। নিউটাউনের ডিসি অফিসে সেই সাহসী সিভিক শেখ সামিম হোসেনকে মানপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (নিউটাউন) মানব সিংলা, ডিসি ট্রাফিক নিমা নোর্বু।
চলতি মাসের ৫ তারিখে দিনে দুপুরে নিউটাউনের (Newtown) গন্ডার মোড়ে এক নাবালিকাকে অপহরণের চেষ্টা করে এক বাইক চালক। সেই সময় শহরের তথ্যপ্রযুক্তি তালুক ইকোস্পেস লাগোয়া ওই সিগন্যালে কর্তব্যরত ছিলেন সিভিক সামিম হোসেন। তাঁর তৎপরতায় অপহরনের হাত থেকে রক্ষা পায় নাবালিকা।
[আরও পড়ুন: দুধবিক্রেতা থেকে আড়িয়াদহের ত্রাস! জয়ন্তর উত্থানের নেপথ্যে কে?]
টেকনো সিটি থানার অধীনস্থ চকপাচুড়িয়ার বাসিন্দা বছর নয়েকের ওই নাবালিকা, খুদে ভাইয়ের সঙ্গে দুপুরে বাড়ির বাইরে স্নান করতে বেরিয়েছিল। সে সময় গন্ডার মোড় থেকে নাবালিকাকে অপহরণের চেষ্টা হয়। মেয়েটির ভাইয়ের থেকে 'দিদি'র অপহরণের কথা জানতে পারেন কর্তব্যরত সামিম। দেরি না করে অপহরণকারী বাইকের পিছু ধাওয়া করেন তিনি। তাতে কার্যত ভয়ে নাবালিকাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতী। এই ঘটনার তদন্ত নেমে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রাজারহাটের ওমরআইট এলাকা থেকে মিলন মোল্লা নামে অপহরণকারী বাইক চালককে গ্রেপ্তার করে টেকনো সিটি থানার পুলিশ।
বিধাননগর কমিশনারেট পুলিশ জানিয়েছে, গন্ডার মোড়ে কর্তব্যরত সিভিকের তৎপরতায় নাবালিকা মেয়েটি অপহরনের হাত থেকে রক্ষা পায়। এই ভালো কাজে উৎসাহস্বরূপ কর্তব্যরত সিভিককে সংশয়পত্র ও আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। কমিশনারেট পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের হাত থেকে সেই পুরস্কার পেয়ে আপ্লুত সামিম। তিনি বলেন, "নাবালিকার জীবন বাঁচাতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। পুলিশের সুনাম রক্ষায় ভবিষ্যতে এমন কাজে বুক চিতিয়ে লড়ব।"