সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে রাখলেও শেষরক্ষা হল না। অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে আটক অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ও সুকন্যা ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষিণ বারাসত থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলেই খবর।
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারির পরই উঠে এসেছিল বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নাম। জানা গিয়েছিল, শুধু অনুব্রত নন, সুকন্যার সঙ্গেও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল পুরকর্মী বিদ্যুৎবরণের। রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ বোলপুরে সেই বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু দেখা মেলেনি বিদ্যুৎবরণের। সিবিআই সূ্ত্রে খবর, স্ত্রী জানিয়েছিলেন যে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছেন বিদ্যুৎ। এরপর থেকে মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁর খোঁজ শুরু করে সিবিআই। কিন্তু কোনও হাসপাতালে দেখা মেলেনি তাঁর। অবশেষে দক্ষিণ বারাসত থেকে সিবিআইয়ের জালে বিদ্যুৎবরণ। আটক করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলকাতায়।
[আরও পড়ুন: বনগাঁর উপনির্বাচনে সবুজ ঝড়, আসানসোলেও বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূল, দ্বিতীয়স্থানে বাম]
দীর্ঘদিন বোলপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন বিদ্যুৎবরণ। ট্রাকের খালাসি ছিলেন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরই স্থায়ী চাকরি পান তিনি। সিবিআই অনুব্রতকে (Anubrata Mandal) গ্রেপ্তারির পর যে কোম্পানি গুলির হদিশ মিলেছে, তাতে প্রথম ডিরেক্টরের নাম ছিল সুকন্যা। দ্বিতীয় নাম বিদ্যুৎবরণ গায়েন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর দিকে নজর ছিল সিবিআইয়ের। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, সামান্য পুরসভার চাকরি করে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন বিদ্যুৎ? কীভাবে এত কোম্পানির ডিরেক্টর পদ পেলেন? যদিও গোটাটাই এখনও ধোঁয়াশা।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি সুকন্যার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বিদ্যুৎবরণ গায়েনের। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি রয়েছে তাঁদের। সূত্রের খবর, অনুব্রতকে বাবা বলেও নাকি ডাকতেন বিদ্যুৎ।