সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘শক্তিশালী দেশ হিসেবে প্রতিবেশীর উপর আধিপত্য বিস্তার করা যাদের উদ্দেশ্য, তারা প্রতিবেশীর বিপদে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য করে না।’ মালদ্বীপ ও ভারতের মধ্যে চলতে থাকা কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই দ্বীপরাষ্ট্র প্রসঙ্গে এমনটাই জানালেন দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিবেশীর বিপদের দিনে ভারত সর্বদা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়িয়েছে।
চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ভারত-মালদ্বীপ কূটনৈতিক সম্পর্ক জটিল আকার নিয়েছে। নিজেদের দেশ থেকে ভারতকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে মালদ্বীপ। একইসঙ্গে অভিযোগ করা হয়েছে, ছোট দেশ বলেই ভারত তাঁদের সার্বভৌমত্ত্বে আঘাত হানছে। মুইজ্জুর সেই মন্তব্যের প্রসঙ্গ ধরেই দিল্লির এক অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘ভারত কি মালদ্বীপের উপর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে? ছোট দেশ বলে হেনস্তা করা হচ্ছে?’ জবাবে জয়শংকর বলেন, “আজ গোটা বিশ্ব দেখছে ওই অংশে ঠিক কী হচ্ছে। আপনি যখন ভারতকে হেনস্তাকারী দেশ বলছেন, তখন আপনার জানা উচিত, ‘শক্তিশালী দেশ হিসেবে প্রতিবেশীর উপর আধিপত্য বিস্তার করা যাদের উদ্দেশ্য, তারা প্রতিবেশীর বিপদে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য করে না। নিজের দেশে ভয়াবহ কোভিড প্রকোপ থাকা সত্ত্বেও অন্য দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে না। দেশের নিয়ম পরিবর্তন করে খাদ্য, জ্বালানি বা সারের চাহিদা পূরণ করে কারণ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে যুদ্ধের জেরে সাধারণ মানুষের জীবন গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ‘বেকারত্বে পাকিস্তানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত’, মোদির নীতির তীব্র সমালোচনা রাহুলের]
একইসঙ্গে জয়শংকর বলেন, “ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সম্পর্কে আসলে কী পরিবর্তন হয়েছে তা আপনার দেখা উচিত। বাংলাদেশ এবং নেপালের সঙ্গে আজ পাওয়ার গ্রিড তৈরি হয়েছে। রাস্তা, রেলপথ তৈরি হয়েছে যা এক দশক আগে ছিল না, জলপথে যাতায়াত আরও সহজ হয়ে উঠেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের যে হারে উন্নতি হয়েছে, যে পরিমাণে বিনিয়োগ হয়েছে, তাতে প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্কের খুব ভাল গল্প করা যায়। শুধু নেপাল বা বাংলাদেশ নয়, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, এমনকী আমি বলব মালদ্বীপের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে।”