সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় রেল মানেই দুর্ঘটনা? ২০২৩ সালে বাহানগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস, চলতি বছরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের মতো একাধিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ। এ ছাড়া ছোটখাটো দুর্ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনা। যা নিয়ে বিরোধীরা বিঁধছে সরকারকে। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু এই দুর্ঘটনাগুলির নেপথ্যে সরকারের গাফিলতি দেখছেন না। তিনি দেখছেন ষড়যন্ত্র।
কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী রবনীত বিট্টু বলছেন, ভারতীয় রেলে পর পর যে দুর্ঘটনা হচ্ছে, তার নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। বেশ কিছু বিপজ্জনক জিনিস রয়েছে এর নেপথ্যে। রেল প্রতিমন্ত্রীর দাবি, "রেল দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে ভয়ঙ্কর জিনিসপত্র উঠে আসছে। গতকালই আলিগড়ে রেল ট্রাকে অ্যালয় হুইল পাওয়া গিয়েছে। এর মানে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে, যা ধীরে ধীরে সামনে আসছে।"
[আরও পড়ুন: মিস ইন্ডিয়ায় সংরক্ষণ নেই কেন? প্রশ্ন রাহুল গান্ধীর! ফের ‘বালক বুদ্ধি’ খোঁচা দিল বিজেপি]
কিন্তু কে এই ষড়যন্ত্র করছে, কেনই বা করা হচ্ছে? রেল প্রতিমন্ত্রীর দাবি, "নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। সেকারণেই ভারতের লাইফলাইন রেল ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সম্প্রতি রেল দুর্ঘটনাগুলি দেখলেই বোঝা যাবে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে।" কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ইঙ্গিত এই রেল দুর্ঘটনাগুলির নেপথ্যে বিদেশি শক্তির হাতও থাকতে পারে।
[আরও পড়ুন: খুলে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যপথ! উপত্যকার নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষণা মেহবুবার]
উল্লেখ্য, ভারতে প্রায় ৬৮ হাজার কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’হাজার কিলোমিটার ট্র্যাক কবচের আওতায় এসেছে। মাত্র ৬৫টি ইঞ্জিনে বসানো হয়েছে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস। ২০০১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই কবচ প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিতি ঘটে। তখন শুধুমাত্র লোকোতেই অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস বসানোর কথা বলা হয়। ২০২০-র পর নতুন নামকরণ করা হয় ‘কবচ’। রেলে এই কবচ ব্যবস্থা চালুর গড়িমসিকেই বিরোধীরা দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে দেখাতে চাইছেন।