সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) ভারতীয় কুস্তির সার্বিক ব্যর্থতার মধ্যেও উজ্জ্বল ছিলেন দু’জন। বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia) ও রবি দাহিয়া (Ravi Dahiya)। বজরং ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন ৬৫ কেজি বিভাগে। রবি রুপো পান ৫৭ কেজিতে। তবে প্যারিস গেমসে (Paris Olympics 2024) সেই পদকের রং বদলানোর সামান্যতম সুযোগও পাবেন না তাঁরা। কারণ অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন পর্বের লড়াইয়ে যাওয়ার দৌড় থেকেই ছিটকে গিয়েছেন দুই কুস্তিগির।
মহিলাদের ৫৩ কেজিতে অন্তিম পাঙ্ঘাল ছাড়া ভারতের কোনও কুস্তিগির এখনও অলিম্পিকের টিকিট পাননি। সেই টিকিটের জন্য দু’টি সুযোগ রয়েছে মাত্র। ১৯ এপ্রিল থেকে বিশকেকে শুরু হতে চলা এশিয়ান অলিম্পিক কোয়ালিফায়ার এবং ৯ মে থেকে ইস্তানবুলে শুরু হতে চলা বিশ্ব অলিম্পিক কোয়ালিফায়ার। দুই প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ট্রায়ালের আয়োজন করেছিল দেশের কুস্তি ফেডারেশনের অ্যাড-হক কমিটি। সেই ট্রায়ালেই ব্যর্থ হয়েছেন বজরং-রবির মতো দেশের দুই হাই প্রোফাইল কুস্তিগির।
[আরও পড়ুন: ‘বিরাট-রোহিতের হাত থেকে ব্যাটন নেবে কে…’,একথা কেন বললেন প্রাক্তন ক্রিকেটার?]
শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল বজরংয়ের পারফরম্যান্স। ৬৫ কেজির প্রথম রাউন্ডেই প্রতিপক্ষ রবিন্দরের বিরুদ্ধে কোনওরকমে জেতেন তিনি। প্রতিপক্ষ আইন ভেঙে শাস্তির মুখে না পড়লে শুরুতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেত বজরংয়ের। তবে সেমিফাইনালে রোহিত কুমারের কাছে ১-৯ ব্যবধানে হেরে থেমে যান বজরং।
ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরন সিংয়ের বিরুদ্ধে কুস্তিগিরদের লড়াইয়ের অন্যতম মুখ বজরং। হাংঝৌ এশিয়ান গেমসে ব্যর্থতার পর এই ট্রায়ালের জন্য রাশিয়ায় গিয়ে ট্রেনিংও করেন তিনি। কিন্তু এদিন রোহিতের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি তিনি। এতটাই হতাশ হয়ে পড়েন যে তৃতীয় স্থানাধিকারী নির্ণয়ের ম্যাচেও খেলেননি বজরং। অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচেই আমন শেরাওয়াতের কাছে ১৩-১৪ ব্যবধানে হারেন রবি। এরপর অনূর্ধ্ব ২০ এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন উদিতের কাছে দ্বিতীয় ম্যাচে হারতেই রবিব প্যারিস-যাত্রার স্বপ্ন অস্ত যায়।