সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করার অঙ্গীকার যতই করুন কবি, মানুষ নিজের কবর খোঁড়ায় গাফিলতি করতে চায় না। আইএএ-র নয়া রিপোর্ট সেই ছবিকেই ফের তুলে ধরল। গত বছর, ২০২১ সালে বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের নির্গমন ভেঙে দিয়েছে সব রেকর্ড! এই পরিসংখ্যান সত্যিই ভয় দেখাচ্ছে। কেননা আগের বছরের তুলনায় একধাক্কায় ৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে নির্গমনের হার।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা IAA মঙ্গলবার জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ মেট্রিক টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়েছে গত বছর। ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া অতিমারীর ধাক্কায় কিছুটা কমেছিল কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন। কিন্তু ফের নতুন করে একলাফে হু হু করে বেড়েছে সেই পরিসংখ্যান। যা এখনও পর্যন্ত বার্ষিক হিসেবে সর্বোচ্চ।
[আরও পড়ুন: রাশিয়ার থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি বন্ধ করল আমেরিকা, বড় ঘোষণা বাইডেনের]
কিন্তু কেন? কেন হঠাৎ এত বেশি পরিমাণে ওই বিষাক্ত গ্যাস মিশে গেল বাতাসে? সেই কারণও বলা হয়েছে রিপোর্টে। আসলে ২০২০ সালে লকডাউনের ধাক্কায় কারখানার উৎপাদন যেমন বন্ধ ছিল, তেমনই যানবাহনের চলাচলও ছিল না দীর্ঘ সময়। এর ধাক্কাতেই বাতাসের দূষণ অনেকটাই কমেছিল। কিন্তু পরের বছর নতুন করে উৎপাদনে গতি আনা হয়। অর্থনৈতিক সংকট থেকে বাঁচতে শিল্পক্ষেত্রগুলিতে জ্বালানির পরিমাণ বাড়ে। তারই ফলশ্রুতি এই পরিস্থিতি।
এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চিন। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে কেবল চিনেই যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়েছে তা মোট পরিমাণের ৩৩ শতাংশ। গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বে বেড়েই চলেছে বায়ু দূষণ। সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, বায়ুদূষণের মাত্রায় শীর্ষে রয়েছে পাপুয়া নিউ গিনি ও নাইজার। যার ধাক্কায় কমছে মানুষের গড় আয়ু। নতুন রিপোর্ট থেকে সেই ছবি আবারও স্পষ্ট হল।