সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'মা বাঁচাও, এরা মেরে ফেলবে'। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের একটি মাত্র ফোনকল। তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই বিহারের বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের পুত্রের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে। ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ তুলে তাঁর খোঁজ পেতে পুলিশের দ্বারস্ত হয়েছেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। নিখোঁজ পড়ুয়ার খোঁজ পেতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে বিহার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ জুন শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ ফার্মার পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে বের হন পাটনার দানাপুরের বাসিন্দা বিজেপি নেতা রাজেশ সিংয়ের পুত্র অংশু সিং। তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। এই পরিস্থিতিতে শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ মায়ের ফোনে ফোন করেন ওই নিখোঁজ পড়ুয়া। আর্তি জানান, 'মা আমাকে বাঁচাও, এরা মেরে আমায় ফেলবে। দু'দিন ধরে আমায় শৌচাগারে বন্দী করে রেখেছে। কোনওভাবে ফোন জোগাড় করে ফোন করছি।' মাকে সে আরও জানায়, কোনও অ্যাপার্টমেন্টে বন্দী করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর সঙ্গে শুভম নামে তাঁর আরও এক বন্ধুকে ধরে আনা হয়েছে বলে জানায় অংশু।
[আরও পড়ুন: মাওবাদী হামলা ছত্তিশগড়ের সুকমায়! IED বিস্ফোরণে শহিদ ২ CRPF জওয়ান]
ছেলের এমন ফোন পাওয়ার পর উদ্বিগ্ন পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। ওই ফোনকলের সূত্র ধরে অংশুর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। এদিকে নেতার পুত্রের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোরগোল শুরু হয়েছে। রাকেশ সিংয়ের অনুগামীরা বিবিগঞ্জের ব্যস্ত অবরোধ করে। যতক্ষন না অংশুর খোঁজ মিলছে ততক্ষণ রাস্তা অবরোধের হুমকি দেওয়া হয়। যদিও আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে তাঁদের তুলে দেয় পুলিশ। অংশুকে দ্রুত উদ্ধারের দাবি সরব হয়েছেন এলাকার বিজেপি বিধায়ক আশা সিনহাও। থানার সামনে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।
[আরও পড়ুন: দুবাইগামী বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায় ১৩-র কিশোর! ‘ভুয়ো’ ইমেল কেন পাঠিয়েছিল, জানাল কারণ]
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, 'শুক্রবার পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বিহারের সাইওয়ানের উদ্দেশে বেরিয়েছিল ওই পড়ুয়া। তার পর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। এর পর বাড়িতে তাঁর ফোন আসায় প্রাথমিকভাবে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অনুমান করছি আমরা। ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ফোন কলের সূত্র ধরে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। শীঘ্রই তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।'