সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের নয়া দল 'জনসুরজ'-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। বিহার উপনির্বাচন উপলক্ষে ইমামগঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে 'জনসুরজ পার্টি'। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতনরাম মাঝির অভিযোগ, ইমামগঞ্জ কেন্দ্রে জিততে ভোটারদের এক লক্ষ টাকা করে ঘুষ দিচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়েছে বিহার রাজনীতিতে। তবে অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পালটা তোপ দেগেছেন পিকে।
ইমামগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন উপলক্ষে এবার এখানে প্রার্থী হয়েছেন এনডিএ শরিক হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চার নেত্রী দীপা মাঝি। যিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতনরাম মাঝির পুত্রবধূ। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির সদস্যাকে ভোটে জেতাতে জোর প্রচারে নেমেছেন জিতন। সম্প্রতি গয়ায় ভোট প্রচারে গিয়ে এক জনসভায় মাঝি অভিযোগ করেন, 'জনসুরয পার্টির নেতারা ইমামগঞ্জের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রলোভন দেখাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, তাদের দলকে ভোট দিলে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। সকলে যাতে ভোট দেন তা নিশ্চিত করতে একটি ফর্মে সইও করিয়ে নেওয়া হচ্ছে।'
প্রশান্ত কিশোরের দলের বিরুদ্ধে এহেন গুরুতর অভিযোগ তোলার পাশাপাশি, তিনি এলাকার মানুষের কাছে আবেদন জানান, এই ধরনের প্রতিশ্রুতিতে তারা যেন প্রভাবিত না হন। পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানান, দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হোক 'জনসুরজ'-এর বিরুদ্ধে। নিজের দলের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই মুখ খুলেছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, "উনি কি বলছেন উনি জানেন? প্রতিটি কেন্দ্রে ২ লক্ষ ভোটার রয়েছেন প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা দিলে কত টাকা হবে ওনারা হিসেব করুন?"
একইসঙ্গে তিনি জানান, "মাঝি যদি নিশ্চিত হয়ে জানান আমরা টাকার গদির উপর বসে রয়েছি, তাহলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে উনি আমাদের পিছনে ইডি-সিবিআই লেলিয়ে দিন। কমিশনকে জানান। আসলে ইমামগঞ্জে লড়াইটা আরজেডি ও জনসুরয পার্টির মধ্যে। এটা বুঝতে পেরেই ওনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।" একইসঙ্গে তোপ দেগে বলেন, "ওনার কাছে রাজনীতি হল সর্বদা পরিবার কেন্দ্রিক। নিজের পুত্রবধূকে প্রার্থী করে এখন তাঁর জন্য যুদ্ধে নেমেছেন।" উল্লেখ্য, আগামী ১৩ নভেম্বর বিহারের দুই বিধানসভা কেন্দ্রে হতে চলেছে উপনির্বাচন।