সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar) দলে যোগ দেওয়া একমাসও হয়নি। এরই মধ্যে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল বিহার কংগ্রেস। আরজেডির সঙ্গে দীর্ঘদিনের জোটে সাময়িক ইতি টেনে ফেলল হাত শিবির। এমনকী দলের কিছু নেতা বলতে শুরু করেছেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও একা লড়বে কংগ্রেস (Congress)।
আরজেডি (RJD) এবং কংগ্রেসের বিবাদের মূল কারণ কুশেশ্বর অস্টনের উপনির্বাচন। ওই কেন্দ্রে জোটের সূত্র অনুযায়ী কংগ্রেসের লড়াই করার কথা। কিন্তু এবারে আরজেডি ওই কেন্দ্রে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়েই ওই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে লালুপ্রসাদের (Lalu Prasad Yadav) দল। আসলে, গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জঘন্য পারফরম্যান্সের জেরে তাঁদের আর বিশ্বাস করতে পারছে না জোটসঙ্গী আরজেডি। সম্ভবত সেকারণেই ওই কেন্দ্রে নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তেজস্বী যাদব। যাতে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। এআইসিসির (AICC) বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ভক্তচরণ দাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “আরজেডি কংগ্রেসকে সম্মান করলে, কংগ্রেসও আরজেডিকে সম্মান করবে। আরজেডি কেন এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিল? এই জোট ভাঙার দায় ওদেরই নিতে হবে।”
[আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে মহারণের আগেই চূড়ান্ত ১২ জনের নাম ঘোষণা পাকিস্তান]
আরজেডির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের অবনতি অনেকদিন ধরেই হচ্ছিল। এবার কার্যত সরকারি সিলমোহর পড়ে গেল। শুক্রবার এআইসিসির বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ভক্তচরণ দাস (Bhakta Charan Das) কানহাইয়া কুমারের উপস্থিতিতে জানিয়ে দিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিহারের ৪০ আসনে একাই লড়বে কংগ্রেস। বিহার কংগ্রেসের নেতারাও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। আসলে দীর্ঘদিন জোট রাজনীতিতে থাকার জেরে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের আশা কানহাইয়ার নেতৃত্বে বিহারে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে দল।
[আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত ভারত, বলছেন বিরাট, কেমন হল টিম ইন্ডিয়া?]
আরজেডি কংগ্রেসের বহুদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিল। সেই ২০০৪ থেকেই লালু এবং সোনিয়ার ‘গটবন্ধন’ বিজেপিকে (BJP) চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসছে। তেজস্বী এবং রাহুলের (Rahul Gandhi) সম্পর্কও নেহাত মন্দ ছিল না। আকস্মিকভাবে এই জোট ভেঙে যাওয়ায় দুই শিবিরই ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছে।