সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের (Bihar) কংগ্রেস (Congress) কর্মীদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পাটনায় (Patna) দলের সদর দপ্তর সদাকন্দ আশ্রম। এদিন দলীয় কর্মীদের নিজেদের মধ্যেই মারামারি, গালাগালি ও চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি করতে দেখা গিয়েছে। সদ্য রাজ্যে দলের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন ভক্তচরণ দাস। এদিন তাঁর সামনেই শুরু হয়ে যায় প্রবল অশান্তি। রীতিমতো অশ্রাব্য অশ্লীল গালাগালির সঙ্গে শোনা গিয়েছে ‘কংগ্রেসের দালাল’ বলে চিৎকারও।
কী নিয়ে এই অশান্তি? আসলে নভেম্বরে বিহার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই দলের অন্দরে ক্ষোভ বাড়ছিল। বহু নেতার অভিযোগ, রীতিমতো ‘বিক্রি’ হয়েছে ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট! সিনিয়র নেতারা ঘুষের বিনিময়ে স্বজনপোষণ করেছেন। অনেক কর্মীরই অভিযোগ, নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পিছনে আসল কারণ নাকি এটাই।
[আরও পড়ুন: বিতর্কের ঊর্ধ্বে ত্রাতা PM CARES! এই তহবিল থেকেই ভ্যাকসিন কিনতে পারে সরকার]
দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বৈঠকেই এমন দৃশ্য দেখে স্বভাবতই হতাশ ভক্তচরণ দাস। ওই সংঘর্ষের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। স্থানীয় নেতাদের রণমূর্তি দেখে হতাশ ভক্তচরণকে বলতে শোনা যায়, ‘‘রাজ্যে দলের অবস্থান কী করে উন্নত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতেই আজকের বৈঠক ডাকা হয়েছে। আপনারা দয়া করে ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না।’’
ভরত সিংয়ের মতো বহু নেতা কিছুদিন ধরেই অভিযোগ করতে শুরু করেছেন, দলের অর্ধেকের বেশি বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলে যোগ দিতে চান। এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ভক্তচরণ। তাঁর কথায়, ‘‘ভরত সিংয়ের মতো নেতাদের আমি কংগ্রেসের নেতা বলেই মনে করি না।’’ তিনি আশাবাদী, এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠে দল ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে।
বিহারের নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল কংগ্রেসের। জোটসঙ্গী যেখানে ৭৫টি আসনে জিতেছিল, সেখানে কংগ্রেস পায় মাত্র ১৯টি আসন। এমনকী, বাম দলগুলিও ২৯টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ১৬টিতেই জিতেছিল। সব মিলিয়ে জোটের মধ্যে সবচেয়ে হতাশাজনক ছিল কংগ্রেসের পারফরম্যান্সই। অনেকেই বিরোধী জোটের ক্ষমতা দখল করতে না পারার জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করেছিল।