সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল হিন্দু পুরাণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বাংলাদেশের এক নেতা। যা নিয়ে সেদেশে তুমুল শোরগোল হয়। এবার বিহারের (Bihar) শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখর (Chandrashekhar) মন্তব্য করলেন, তুলসীদাস রচিত রামচরিতমানস (Ramcharitmanas) আসলে সমাজে ঘৃণার মনোভাব ছড়ায়। এছাড়াও এই ধরনের গ্রন্থ নারী স্বাধীনতা এবং দলিত মুক্তি বিরোধী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। স্বভাবতই বিহারের মন্ত্রীর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। মন্ত্রীর নিন্দায় সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির।
বুধবার বিতর্কিত মন্তব্য করেন চন্দ্রশেখর। তিনি রামচরতিমানস ছাড়াও মনুস্মৃতি এবং গুরু গোলওয়ালকরের ভাবনারও চরম বিরোধিতা করেন। বলেন, “রামচরতিমানস, মনুস্মৃতি এবং গুরু গোলওয়ালকরের বাণী সমাজে ঘৃণার মনোভাব ছড়ায়। ঘৃণা কোনও দেশকে সেরা করে তুলতে পারে না, বরং ভালবাসাই মহান করে তুলতে পারে একটি দেশকে। উল্লেখ্য, এর আগে বিহারের আরজেডি (RJD) নেতা জগদা নন্দ সিংয়ের (Jagada Nand Singh) অযোধ্যার রামমন্দির সংক্রান্ত মন্তব্যে আগুনে ঘি পড়েছিল। রাম জন্মভূমিকে ঘৃণাভূমি বলেন তিনি। এছাড়াও অযোধ্যার মন্দির নিয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল, রাম ভক্তরা ভগবান রামকে চার দেওয়ালে বন্দি করেছেন।
[আরও পড়ুন: সংসদের আইন লঙ্ঘন করতে পারে না বিচারবিভাগ! ফের সুপ্রিম কোর্টকে নিশানা ধনকড়ের]
জগদা নন্দ সিং বলেছিলেন, “যে ভগবান রাম সবকিছুর মধ্যে বিরাজ করেন তাকে চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ করা হয়েছে। রামমন্দির নির্মাণ করা হয়েছে ঘৃণার ভূমিতে (নফরত কী জমিন)। এই মন্দিরে যে রাম রয়েছেন তা অশান্তি বাধানো মানুষের। অযোধ্যার ভগবান ছিলেন গরিবের, কুঁড়েঘরে বসবাসকারী মানুষের, পাথরের কাঠামোর মধ্যে তাকে বন্দী করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: একা ফাটলে রক্ষা নেই দোসর বৃষ্টি! আতঙ্কের যোশিমঠে রাত কাটালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী]
এদিকে বিহারের শিক্ষমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য বেজায় চটেছে গেরুয়া শিবির। দল বিজেপি যেমন বিরোধিতা করে ময়দানে নেমেছে, তেমনই এক স্বঘোষিত ধর্মগুরু কঠিন ফতোয়া জারি করেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, মন্ত্রী চন্দ্রশেখরকে তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা না চাইলে তাঁর জিভ কেটে নেওয়া হবে। যে শিক্ষামন্ত্রীর জিভ কেটে আনবে তাঁকে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেবেন ধর্মগুরু।