সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লালুপ্রসাদ যাদবের জমানায় মোষের শিং পালিশ করতে খরচ হয়েছিল ১৬ লক্ষ টাকা। বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ১৯৯০ সালে লালুপ্রসাদ যাদব বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পশুখাদ্যের জন্য বরাদ্দ ৬৫৮ কোটি টাকার কোনও হিসেব পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই এই দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন লালুপ্রসাদ। তিনি জেলবন্দি থাকার পাশাপাশি রাঁচি ও পাটনার সিবিআই আদালতে এই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘আজম খানের মতো ব্যক্তিরা আসলে লম্পট’, সাংসদকে একহাত নিলেন জাভেদ আখতার]
সম্প্রতি বিহার বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনে অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দ বিল ২০১৯, নিয়ে আলোচনা চলছিল। ওই বিলে ১৯৭৭-৭৮ সাল থেকে ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে হওয়া অতিরিক্ত খরচের বিস্তারিত বিবরণ আছে। এসম্পর্কে বলতে গিয়ে মোষের শিংয়ে তেল মাখানোর জন্য ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। সরকারি এক আধিকারিকের দেওয়া হিসাবের কথাও উল্লেখ করেন। ওই হিসাব অনুযায়ী, ১৯৯০-১৯৯৬ পর্যন্ত মোষের সিং পালিশ করার জন্য কেনা হয়েছিল ৪৯,৯৫০ লিটার সর্ষের তেল। খরচ হয়েছে ১৬ লক্ষ টাকা। হাটওয়ার্ক মিল্ক সাপ্লাই কাম ডেয়ারি ফার্মের ম্যানেজার ডাঃ জানুয়েল ভেঙ্গরাজ ভুয়ো বিল তৈরি করে ওই টাকা তুলেছিলেন। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করার অভিযোগ ওঠে সেসময়ে বিহার প্রশাসনে থাকা আধিকারিক ও শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে।
আরও জানা যায়, অবিভক্ত বিহারের চাইবাসা, দুমকা, জামশেদপুর, গুমলা ও পাটনা জেলায় ৯৫৯টি ভেড়া, ৫৬৬৪টি শুয়োর, ৪০,৫০৪টি মুরগি ও ১৫৭৭টি ছাগলের জন্য কেনা হয়েছিল ২৫৩.৩৩ কোটি টাকার খাবার। যদিও রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা মতো খাবার কেনার কথা ছিল ১০.৫৩ কোটি টাকার।
[আরও পড়ুন: বিকাশের বলি! উন্নয়নের লক্ষ্যে পাঁচ বছরে ১ কোটি গাছ কাটার অনুমতি কেন্দ্রের]
সুশীল মোদির অভিযোগ, সরকারি হিসাব অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ পশুখাদ্য কেনার কথা ছিল। কিন্তু, লালুপ্রসাদের সরকার তা অগ্রাহ্য করে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য ভুয়ো বিল জমা দিয়েছে। বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থ অন্যায়ভাবে বাজেটে পাশ করিয়েছে।
The post মোষের শিং পালিশ করতে ১৬ লক্ষ টাকার তেল! লালু জমানায় দুর্নীতির পাহাড় বিহারে appeared first on Sangbad Pratidin.